প্রতীকী ছবি।
জমি কিনে তা নিজের নামে রেকর্ড করানো, উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া জমির মালিকানা পরিবর্তন অথবা জমি সংক্রান্ত কোনও সমস্যা সমাধান— ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরে গিয়ে অনেকের অভিজ্ঞতাই মধুর নয়। সেই ধারণা কার্যত ঘুচিয়ে দিল বীরভূম জেলা ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর। শুক্রবার দফতরের সমস্ত কাজের নিরিখে রাজ্যের সেরা হল জেলার এই দফতর। কলকাতায় আলিপুরে ল্যান্ড ডিরেক্টরেট অফিসে এই পুরস্কার নেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) পূর্ণেন্দু মাজি।
দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মিউটেশন, কনভার্সান (মালিকানা পরিবর্তন) রাজস্ব সংগ্রহ, পাট্টা বিলি, জমি খাস করা থেকে জমি সংক্রান্ত নানা অভিযোগ নিষ্পত্তি— সবেতেই গত কয়েক বছরের সব রেকর্ড ছাপিয়ে গিয়েছে জেলার ওই দফতর। সারা রাজ্যের প্রতিটি জেলায় থাকা ওই দফতরের কর্মকাণ্ডের মূল্যায়ন হয়। সমস্ত সূচকের মাপকাঠিতেই বীরভূম জেলা ১৮-১৯ অর্থবর্ষে সেরা হয়েছে। দ্বিতীয় হয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুর, তৃতীয় স্থানে নদিয়া।
দফতর সূত্রের খবর, মিউটেশনের সংখ্যা ১৬-১৭ অর্থবর্ষে যেখানে ১ লক্ষ ৬ হাজার ও ১৭-১৮ অর্থবর্ষে ১ লক্ষ ২৯ হাজার ছিল সেটাই ১৮-১৯ অর্থ বর্ষে দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৭৮ হাজারে। রাজস্ব আদায় ১৬-১৭ অর্থবর্ষে যেখানে ছিল ৬২ কোটি, ১৭-১৮ অর্থবর্ষে ৯৮ কোটি, সেটাই ১৮-১৯ অর্থ বর্ষে বেড়ে হয়েছে ১৭৬ কোটি। দফতরের সবচেয়ে হয়রানির অভিযোগ যে ক্ষেত্রে ওঠে, সেই জমি জমা সংক্রান্ত অভিযোগের নিষ্পত্তিও অনলাইনে মাত্র দু’সপ্তাহের মধ্যে সমাধান হচ্ছে। সে কারণেই পুরস্কার বলে দফতরের কর্তারা জানান।
অতিরিক্ত জেলাশাসাক পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘জেলার প্রতিটি কাজে জেলাশাসকের সাহায্য ও পরামর্শ রয়েছে। এর সঙ্গে দফতরের কর্মী আধিকারিকদের সকলে একসঙ্গে একজোট হয়ে কাজ করছেন। এই পুরস্কার তারই ফলস্বরূপ। এই পুরস্কার ভাল কাজের অনুপ্রেরণা জোগাবে।’’