কয়লা পাচারকাণ্ডে সিবিআই আদালতে জামিন পেলেন বিকাশ মিশ্র। নিজস্ব চিত্র।
কয়লা পাচারকাণ্ডে শর্তসাপেক্ষে বিকাশ মিশ্রকে জামিন দিল আসানসোলের বিশেষ সিবিআই আদালত। কলকাতা হাই কোর্ট থেকে বিকাশ আগেই জামিন পেয়েছিলেন। সেই শর্তই বজায় রেখে তাঁকে জামিন দেওয়া হল।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, বিকাশকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিল আদালত। মঙ্গলবার সেই হেফাজতের মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে আদালতে তোলা হয়। সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী তাঁর জামিন মঞ্জুর করেন।
কয়েক মাস আগে বিকাশকে কয়লা পাচার মামলায় শর্তসাপেক্ষে জামিন দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়। বিকাশকে হেফাজতে চেয়ে শীর্ষ আদালতে আবেদন জানায় কেন্দ্রীয় সংস্থা। তারা জানিয়েছিল, কয়েক দিনের জন্য বিকাশকে যদি হেফাজতে পাওয়া যায়, তবে কয়লা পাচারকাণ্ডের তদন্তে তাদের সুবিধা হবে। সুপ্রিম কোর্ট সিবিআইয়ের আবেদনে সাড়া দিয়ে গত ১০ এপ্রিল নির্দেশ দেয়, বিকাশকে চার দিনের জন্য সিবিআইয়ের হেফাজতে থাকতে হবে।
শীর্ষ আদালতের সেই নির্দেশ অনুযায়ী, গত ১২ মে আসানসোলের সিবিআই আদালত বিকাশকে চার দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠিয়েছিল। হেফাজতের মেয়াদ শেষে তাঁকে মঙ্গলবার আদালতে তোলা হয়। জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক।
আদালত থেকে বেরিয়ে বিকাশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘‘আমি আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, নিয়মিত প্রতি সপ্তাহে হাজিরা দিই। তদন্তে আগামী দিনেও সহায়তা করব। আমার জামিন বহাল আছে। সুপ্রিম কোর্ট বলেছিল চার দিন হেফাজতে থাকতে হবে। থেকে এলাম।’’
কয়লা পাচারকাণ্ডে নিজেকে সম্পূর্ণ নির্দোষ বলেও দাবি করেছেন বিকাশ। তিনি বলেন, ‘‘সিবিআইয়ের চার্জশিটে আমার বিরুদ্ধে কোনও চার্জ নেই। অনুপ মাঝির সঙ্গেও কোনও লেনদেন ওঁরা দেখাতে পারেননি। আইনি প্রক্রিয়া চলছে। সকলেরই তাতে অংশ নেওয়া, সহযোগিতা করা প্রয়োজন। আমিও সেটাই করছি।’’
কয়লা এবং গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রের ভাই বিকাশ। বিনয় এখন পলাতক। তাঁকে খুঁজছে সিবিআই। অন্য দিকে বিনয়ের সাম্রাজ্যের অনেকটাই বিকাশ সামলাতেন বলে জানিয়ে তাকে হেফাজতে নেওয়ার আর্জি জানিয়েছিল সিবিআই। চার দিনের হেফাজত শেষে জামিনে মুক্তি পেলেন তিনি।