—ফাইল ছবি
সল্টলেকের বিকাশ ভবনের বাইরে কীটনাশক খাওয়া এক শিক্ষিকার শারীরিক অবস্থার সামান্য অবনতি হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রে খবর। হাসপাতালে ভর্তি বাকি ৪ জনের অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
মঙ্গলবার বদলির প্রতিবাদ এবং বেতন বৃদ্ধির দাবিতে বিকাশ ভবনের সামনে কীটনাশক খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন পাঁচ শিক্ষিকা। তাঁদের দু’জন নীলরতন সরকার হাসপাতাল এবং তিন জন আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আরজি কর হাসপাতাল সূত্রে খবর, শুক্রবার পুতুল জানার শারীরিক পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট (সিসিইউ) থেকে জেনারেল ওয়ার্ডে স্থানান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিষক্রিয়া রুখতে পুতুলকে যে ওষুধ দেওয়া হচ্ছে তার মাত্রার হেরফের করলেই আবার অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তিনি। তাই আপাতত তাঁকে সিসিইউ-তে রেখেই চিকিৎসা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রিটিক্যাল কেয়ারের চিকিৎসকরা। ওই হাসপাতালে ভর্তি বাকি দুই শিক্ষিকা আগের থেকে ভাল আছেন বলে জানান এক চিকিৎসক।
এনআরএস হাসপাতালের সিসিইউ-তে চিকিৎসাধীন জ্যোৎস্না টুডু এবং শিখা দাস। দু’জনই স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানিয়েছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কীটনাশকের ফলে কিডনি বা অন্য কোথাও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হয়েছে কি না বোঝার জন্য একাধিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। তার রিপোর্টও ভাল বলে জানিয়েছেন এক চিকিৎসক।