বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। —ফাইল চিত্র।
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুর প্রয়াণ দিবস বুধবার। ওই দিন নিউ টাউনে ‘জ্যোতি বসু স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টার’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের কর্মসূচি রয়েছে। সিপিএম গত সপ্তাহেই ঘোষণা করেছিল, জ্যোতি বসুর নামাঙ্কিত কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তবে বুধবার বিকেল পর্যন্ত যা খবর, তাতে কলকাতায় নীতীশের আসার ব্যাপারে ঘোর অনিশ্চয়তা রয়েছে। আলিমুদ্দিন স্ট্রিট সে ব্যাপারে অবগতও।
মঙ্গলবার সিপিএমের প্রভাতী দৈনিকে বুধবারের কর্মসূচির যে বিজ্ঞাপন প্রকাশিত হয়েছে, সেখানেও নীতীশের নাম রয়েছে। পাশাপাশি রয়েছে, সিপিএমের সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি এবং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী তথা সিপিএম পলিটব্যুরোর প্রবীণতম সদস্য পিনারাই বিজয়নের নামও। সীতারাম এবং পিনারাই এলেও নীতীশ নিয়ে অনিশ্চয়তা কাটেনি শেষবেলাতেও।
সিপিএম সূত্রে খবর, নীতীশের সচিবালয়ের পক্ষ থেকে আলিমুদ্দিনকে জানানো হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রীর শরীর ভাল নেই। শরীর ঠিক থাকলে তিনি শেষ মুহূর্তে হলেও কলকাতায় পৌঁছনোর চেষ্টা করবেন। ওই সূত্রে আরও খবর, সিপিএমের তরফে নীতীশকে বলা হয়েছে, তিনি যদি না আসতে পারেন, তা হলে উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবকে অন্তত কলকাতায় পাঠানো হোক। সে ব্যাপারেও চূড়ান্ত কিছু জানা যায়নি মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত। সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘রামমন্দির উদ্বোধনের আগে যা পরিস্থিতি তাতে অনেকেই নিজেদের রাজ্য ছেড়ে অন্যত্র যেতে চাইছেন না। সেই সঙ্গে নীতীশের শারীরিক বিষয়টিও রয়েছে। দেখা যাক, শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়ায়।’’
বিজেপি-বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বৈঠকে নীতীশের ভূমিকা নিয়ে প্রায় সব দলের মধ্যেই সন্দেহের বাতাবরণ তৈরি হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে সিপিএমের আমন্ত্রণে নীতীশ কলকাতায় আসবেন কি না তা নিয়ে গুঞ্জন ছিলই। মঙ্গলবার সেই অনিশ্চয়তায় আরও জল-বাতাস পড়ল। তবে শেষ পর্যন্ত কী হবে তা স্পষ্ট নয় আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কাছেও।