Mukul Roy

ন’বছর আগের ৩ খুনের মামলায় চার্জশিট, মুকুল-মণিরুলের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি

ওই ঘটনার পর পরই ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মণিরুল এবং তিনি জোড়া ফুল চিহ্নে প্রার্থী হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন। ওই সময়ে মণিরুল-সহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল লাভপুর থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৮:৪৪
Share:

মুকুল রায় ও মণিরুল ইসলাম

তিন খুনের মামলায় বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং মণিরুল শেখের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করল বোলপুর আদালত। ওই মামলায় গত ৪ ডিসেম্বর চার্জশিট জমা দিয়েছিল বীরভূম জেলা পুলিশ। ২০১০ সালের জুন মাসে লাভপুরের নবগ্রামে বালির খাদানের দখলদারি নিয়ে একটি সালিশি সভায় পিটিয়ে খুন করা হয় কটুন শেখ, ধানু শেখ এবং তরুক শেখকে। ওই ঘটনায় তখনকার ফরোয়ার্ড ব্লক নেতা মণিরুল শেখের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় নিহতদের পরিবার। অভিযোগ, মণিরুলের ডাকা ওই সালিশি সভায় তাঁর উপস্থিতিতে এবং তাঁর মদতেই পিটিয়ে খুন করা হয় তিনজনকে।

Advertisement

ওই ঘটনার পর পরই ফরোয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন মণিরুল এবং তিনি জোড়া ফুল চিহ্নে প্রার্থী হয়ে বিধানসভা নির্বাচনে জেতেন। ওই সময়ে মণিরুল-সহ ৫২ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল লাভপুর থানায়। ২০১৫ সালে বীরভূম জেলা পুলিশ ওই ঘটনায় ৩০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। কিন্তু বাদ পড়ে মণিরুলের নাম। তা নিয়েই ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয় নিহতদের পরিবার।

হাইকোর্ট বীরভূম জেলা পুলিশকে ফের তদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই তদন্তের শেষেই ওই ঘটনার অতিরিক্ত চার্জশিটে মণিরুল ইসলামের নাম যেমন অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, তেমনি প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে যুক্ত করা হয়েছে মুকুল রায়েরও নাম। চার্জশিটে পুলিশ দাবি করেছে, ওই তিন জনের খুনের ঘটনায় সক্রিয় প্ররোচনা ছিল মুকুল রায়ের। ঘটনার সময় মুকুল ছিলেন তৃণমূল নেতা।এই চার্জশিটে ২৩ জনকে নতুন করে অভিযুক্ত করা হয়েছে। বীরভূম জেলা পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘ হাইকোর্টের নির্দেশে পুনর্তদন্ত হয়। সেই তদন্তের ভিত্তিতেই যাঁদের নাম উঠে এসেছে তাঁদের নাম চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে।’’ এ বিষয়ে মুকুল রায়কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘ যে সময়ে ওই ঘটনা ঘটেছে সেই সময়ে গোটা রাজ্যে প্ররোচনা দিয়ে বেড়াচ্ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে। সে সিঙ্গুর হোক বা নন্দীগ্রাম। তাই প্ররোচনার অভিযোগে যদি চার্জশিট দিতে হয় তবে তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দেওয়া উচিত।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: বড় নেতার ঘনিষ্ঠ খাদান মালিকের সঙ্গে বিরোধ! উপরতলার ‘শাসনে’ চাকরি ছাড়লেন ওসি​

আরও পড়ুন: উন্নাওয়ের নির্যাতিতাকে চোখের জলে চিরবিদায়, ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা গ্রাম

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement