সাংবাদিক বলে ছাড় নয়, হুমকি ভারতীর

আদালত চত্বরে তাঁর ছবি তুলতে গিয়েছিলেন চিত্র সাংবাদিকেরা। তাঁদের রীতিমতো হুমকি দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। বলে উঠলেন, ‘‘সাংবাদিক বলে কিন্তু ছাড় পাবেন না। আমি ব্যবস্থা নেব।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মেদিনীপুর ও সবং শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০১৫ ০২:৫৭
Share:

আদালত চত্বরে তাঁর ছবি তুলতে গিয়েছিলেন চিত্র সাংবাদিকেরা। তাঁদের রীতিমতো হুমকি দিলেন পশ্চিম মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ। বলে উঠলেন, ‘‘সাংবাদিক বলে কিন্তু ছাড় পাবেন না। আমি ব্যবস্থা নেব।’’

Advertisement

সবংয়ের সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ে ছাত্র খুনের মামলার শুনানি ছিল বুধবার। মেদিনীপুর আদালতে হাজির করা হয় ধৃত তিন টিএমসিপি কর্মীকে। গোপন জবানবন্দি দেন সবং কলেজের শিক্ষাকর্মী ইন্দ্রজিৎ ঘোড়ই। দুপুরে পুলিশের গাড়িতে ইন্দ্রজিৎবাবু আদালতে পৌঁছনোর কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে যান পুলিশ সুপার ভারতীদেবী। পুলিশ সুপার গাড়ি থেকে নামতেই সেখানে হাজির চিত্র সাংবাদিকেরা তাঁর ছবি তুলতে শুরু করেন। কড়া গলায় ছবি তুলতে নিষেধ করেন ভারতীদেবী। সাংবাদিকরা পাল্টা বলেন, ‘‘খোলা জায়গায় ছবি তুলতে বাধা কীসের?’’ ভারতীদেবীর জবাব, ‘‘অনুমতি ছাড়া ছবি তোলা যাবে না। সাংবাদিক বলে ছাড় পাবেন না। আমি স্টেপ নেব।’’

অবশ্য এই প্রথম নয়, ছবি তোলা নিয়ে আগেও নানা সময়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে ভারতীদেবীর বিরুদ্ধে। এ দিনের ঘটনাতেও ক্ষোভ ছড়িয়েছে। সরব হয়েছে বিরোধীরাও। সবংয়ের কংগ্রেস বিধায়ক মানস ভুঁইয়া বলেন, ‘‘মামলা সাজানোর তত্ত্বে বাধা এলেই পুলিশ খেপে যাচ্ছে। সাংবাদিকদেরও হুমকি দিতে ছাড়ছে না।’’ সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিমও বলেন, ‘‘সংবাদমাধ্যম তো সত্যি প্রকাশ করে দিচ্ছে। তাই পুলিশ সুপারের সাংবাদিকদের উপরে এত রাগ।’’ বিজেপি-র পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা সভাপতি তুষার মুখোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘জেলা পুলিশের সর্বোচ্চ কর্তার কাছ থেকে সাংবাদিকদের প্রতি এমন ব্যবহার আশা করা যায় না।’’

Advertisement

সংবাদমাধ্যমকে অবশ্য এ দিন এক হাত নিয়েছেন সবং সজনীকান্ত মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ কানাইলাল পড়িয়াও। ঘটনাচক্রে কৃষ্ণপ্রসাদ হত্যার পরে এই অধ্যক্ষের বিরুদ্ধেও কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে সরব হয়েছেন নিহতের পরিবার ও বিরোধীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement