সোমবারের ভারত বন্ধের ডাক ব্যর্থ করে রাজ্যে জনজীবন সচল রাখতে তৎপর হয়েছে তৃণমূল সরকার। অন্যদিকে শাসক শিবিরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা।
রান্নার গ্যাস, ডিজেল, পেট্রল-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দামবৃদ্ধির প্রতিবাদে বাম-কংগ্রেসের ডাকা বন্ধে যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত ৪০০ সরকারি বাস নামাবে পরিবহণ দফতর। এ বারও বন্ধে ‘ক্যাজ়ুয়াল লিভ’, অর্ধদিবসের ছুটি মঞ্জুর হবে না বলে অর্থ দফতর নির্দেশিকা দিয়েছে। দোকান, অফিস, স্কুল খুলে রাখতে আবেদন করেছে শাসক দল। বন্ধ-বিরোধিতায় বিকেল তিনটে থেকে তৃণমূল রাজ্য জুড়ে মিছিল করবে। রাস্তার একপাশ দিয়ে মিছিল করতে আবেদন করেছেন তৃণমূল নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
শনিবার বেলতলা মোটর ভেহিকেলস্-এ বেসরকারি বাস, মিনিবাস, ট্যাক্সি এবং অটোর প্রতিনিধিদের নিয়ে বৈঠক করে পরিবহণ দফতর। রাস্তায় বেরিয়ে কোনও গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলে গাড়ির মালিক পুলিশের কাছে ১২ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগ জানালে ৭৫ হাজার টাকা পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ পাবেন।
আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ পিকেট থাকবে। যান চলাচল বা দোকানপাট খোলায় কেউ বাধা দিলে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে। অতিরিক্ত পুলিশের পাশাপাশি ওই দিন পুলিশের ডেপুটি কমিশনাররাও রাস্তায় টহল দেবেন। হেভি রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াড ও রেডিও ফ্লাইং স্কোয়াডের গাড়িও শহরের বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন থাকবে।
প্রশাসন এবং তৃণমূলের তরফে বন্ধ ব্যর্থ করার যাবতীয় প্রক্রিয়া দেখে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধ বানচাল করে মোদীকে খুশি রাখতে চাইছেন। মানুষের কাছে বন্ধ সমর্থনের জন্য প্রচারই আমাদের হাতিয়ার।’’ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র বলেন, ‘‘বিজেপির নীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত সকলকে আমরা বন্ধে চেয়েছি। তাতে কাউকে জোর করা হবে না। তেমনই বন্ধ ব্যর্থ করতেও রাজ্যে জোর করা হবে না বলেও আশা করছি।’’ বিজেপি আবার রাজ্যের ভূমিকাকে দ্বিচারিতা বলে কটাক্ষ করেছে। রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসুর কথায়, ‘‘তৃণমূল দু’নৌকায় পা দিয়ে চলছে। একদিকে বন্ধ ব্যর্থ করা, অন্যদিকে বন্ধে ক্ষতিগ্রস্ত যানবাহনকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া। এই সিদ্ধান্তেই বিষয়টি স্পষ্ট।’’