—নিজত্ব চিত্র।
বন্ধের প্রথম দিনে কলকাতা-সহ রাজ্যের নানা প্রান্তে দফায় দফায় গোলমাল হলেও সার্বিক ভাবে তেমন প্রভাব পড়ল না জনজীবনে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, মঙ্গলবার নবান্নে হাজিরার হার ছিল ৯৪ শতাংশ। অন্যান্য সরকারি অফিসেও হাজিরা ছিল ভালই। নিউ়টাউন এবং সেক্টর ফাইভে বন্ধের তেমন প্রভাব দেখা যায়নি। বাম পরিচালিত হলেও শিলিগু়ড়ি পুরসভায় কর্মীদের হাজিরা ছিল চোখে পড়ার মতো। স্বাভাবিক ছিল ডুয়ার্সের চা-বলয়ও। তবে পাট শিল্পে ধর্মঘটের প্রভাব পড়েছে।
দু’দিনের ধর্মঘটে সামিল দু’টি ব্যাঙ্ককর্মী সংগঠনও। ফলে ব্যাঙ্ক শিল্পে বিক্ষিপ্ত প্রভাব পড়েছে। বহু এটিএম বন্ধ মিলেছে। স্টেট ব্যাঙ্কে স্বাভাবিক কাজকর্ম হলেও রিজার্ভ ব্যাঙ্কের কর্মী ইউনিয়ন ধর্মঘটে সামিল হয়েছিল।
এ দিন সকাল থেকেই অবশ্য রাস্তায় নেমেছিলেন ধর্মঘটীরা। সকালে কলকাতা এবং জেলাগুলির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় অবরোধ হয়। রেলের শিয়ালদহ-রানাঘাট, শিয়ালদহ-বনগাঁ, হাও়়ড়া-ব্যান্ডেল, ব্যান্ডেল-কাটোয়া ও হাওড়া-মেচেদা শাখায় অবরোধের জন্য সকালে কিছু ক্ষণ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছিল। হরিশ্চন্দ্রপুর, আসানসোল ও দুর্গাপুরেও রেল অবরোধ হয়। কিন্তু কলকাতা বিমানবন্দরে কোনও উড়ান বাতিল হয়নি। হাওড়া ও শিয়ালদহ স্টেশনে ট্যাক্সি কিছু কম মিললেও সরকারি বাস ছিল প্রচুর। ফেরি চলাচল স্বাভাবিক ছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার শহরে বিভিন্ন জায়গায় গোলমালের অভিযোগে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, প্রাক্তন মন্ত্রী অনাদি সাহু-সহ মোট ৩৯১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গরফায় পুলিশকে মারধরের অভিযোগে চার জন সিপিআই (এমএল) সমর্থককে পাকড়াও করা হয়। বিকেলে ময়দান স্টেশনে মেট্রো চলাচলে বাধা দেওয়ায় ২৩ জন আইএনটিইউসি সমর্থক গ্রেফতার হন। বাগুইআটি, রাজারহাট, বিমানবন্দর থানা এলাকায় রাস্তা অবরোধ ও হাঙ্গামার জন্য ৩৬ জন বাম সমর্থককে গ্রেফতার করা হয়েছে। জলপাইগুড়ি ও দুই দিনাজপুর মিলিয়ে মোট ৮৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।