COVID-19

Covid Vaccine: দ্বিতীয় ডোজ পেলেন এক কোটি বঙ্গবাসী

শিশুরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হলে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০২১ ০৫:৪৭
Share:

এক দিনে টিকা পেয়েছেন পাঁচ লক্ষের বেশি ফাইল চিত্র

করোনা প্রতিষেধকের দু’টি ডোজ পেয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গে এমন গ্রহীতার সংখ্যা এক কোটি পেরোল। সোমবার রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত কোউইন পোর্টাল থেকে পাওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলায় দু’টি ডোজ প্রাপকের সংখ্যা ১,০১,২২,১৪০। অন্য দিকে, রাজ্যে টিকাকরণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর থেকে সোমবারেই প্রথম দৈনিক প্রতিষেধক প্রাপকের সংখ্যা পাঁচ লক্ষ অতিক্রম করল। রাত পর্যন্ত সংখ্যাটি ছিল ৫,০২,১৮৩।

Advertisement

এ দিন সরকারি স্তরে ২৫৬১টি এবং বেসরকারি স্তরে ২৭২টি মিলিয়ে মোট ২৮৩৩টি কেন্দ্রে টিকা দেওয়া হয়। “পর্যাপ্ত জোগান থাকলে দৈনিক চার-পাঁচ লক্ষ টিকা দেওয়ার মতো পরিকাঠামো আমাদের তৈরিই আছে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই জোগানের ঘাটতি ধারাবাহিকতা নষ্ট করে দিচ্ছে,” বলেন স্বাস্থ্য শিবিরের আধিকারিকেরা।

প্রতিষেধক প্রদানের পাশাপাশি, রাজ্যে অতিমারির তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্তের হার সামান্য বৃদ্ধির আশঙ্কা থেকে চিকিৎসার যাবতীয় পরিকাঠামো প্রস্তুত রাখছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী এ দিন জানান, শহর তো বটেই, জেলা স্তরেও শিশুদের কোভিড চিকিৎসার জন্য শয্যা এবং ক্রিটিক্যাল কেয়ার পরিষেবা বাড়ানো হয়েছে। বিভিন্ন ইউনিটে নতুন শয্যার ব্যবস্থা হচ্ছে। ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিটে (সিসিইউ) ১৫৫০টি, পেডিয়াট্রিক ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (পিকু) ৫২৮টি, নিউনেটাল ইনটেন্সিভ কেয়ার ইউনিটে (নিকু) ২৭০টি— মোট ২৩৪৮টি শয্যা প্রস্তুত রাখা হচ্ছে সঙ্কটজনক রোগীর জন্য। বাড়ছে এসএনসিইউয়ের শয্যা-সংখ্যাও।

Advertisement

শিশুরা করোনার তৃতীয় ঢেউয়ে আক্রান্ত হলে কী ভাবে মোকাবিলা করা হবে, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সরকারি ও বেসরকারি স্তরের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নিয়ে গড়া হয়েছে বিশেষ দল। তাঁদের পরামর্শ ও সুপারিশ অনুযায়ী চিকিৎসায় কী কী ওষুধ লাগতে পারে, তার সবিস্তার তালিকা তৈরি করে কেনার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে। শিশুদের কোভিড মোকাবিলার জন্য জেনারেল ডিউটি মেডিক্যাল অফিসার ও নার্সদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। গ্রামে বাড়িতে কী ভাবে কোন স্তর পর্যন্ত শিশু করোনা রোগীকে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব, সেই বিষয়ে বাবা-মাকে জানানোর জন্য প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে আশাকর্মী এবং এএনএম-দেরও।

এ দিন সকালে কোভিশিল্ড ও কোভ্যাক্সিন মিলিয়ে রাজ্যের ভাঁড়ারে ২৬ লক্ষ ডোজ় টিকা ছিল। হিসেব বলছে, এ দিন অন্তত পাঁচ লক্ষ জনকে টিকা দেওয়া হলে হাতে থাকে প্রায় ২১ লক্ষ ডোজ টিকা। আজ, মঙ্গলবার রাজ্যে প্রায় ছ’লক্ষ ডোজ় কোভিশিল্ড এবং এক লক্ষের কিছু বেশি ডোজ কোভ্যাক্সিন আসার কথা আছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement