State News

সবুজ হল পাণ্ডুয়াও, তিনে সিপিএম

বৃহস্পতিবার এই ব্লকের ভোটগণনা হয় পাণ্ডুয়া নিয়ন্ত্রিত বাজারে। এই ব্লকে পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৪৮। বিকেল ৪টে পর্যন্ত সরকারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৪৩টি আসনের ফলাফল ঘোষণা হয়। তার মধ্যে তৃণমূল পায় ৮৯টি আসন। বিজেপি ৩১টি, সিপিএম ১৫টি এবং নির্দল ৮টি আসনে জেতে।

Advertisement

প্রকাশ পাল ও সুশান্ত সরকার

পাণ্ডুয়া শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৮ ০৩:৫১
Share:

বিজয়ী: পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফল ঘোষণার পরে উচ্ছ্বাস তৃণমূলকর্মীর। রাজনগরে। ছবি: দয়াল সেনগুপ্ত

সবুজ-ঝড়ে এ বার পাণ্ডুয়াতেও ছত্রভঙ্গ হল সিপিএম!

Advertisement

গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে হুগলিতে ঘাসফুলের প্রবল হাওয়ার মধ্যেও পাণ্ডুয়ায় দাপটে জিতেছিল সিপিএম। ব্লকের ১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩টিই দখল করেছিল তারা। পঞ্চায়েত সমিতিতেও লাল আবির উড়েছিল‌। তার পরে ’১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন‌েও সিপিএমের আমজাদ হোসেন পাণ্ডুয়ায় জিতে যান। এ বার সেই পাণ্ডুয়া সবুজ হল। ১৬টি পঞ্চায়েতের অধিকাংশতেই জয়ী শাসক দল। সিপিএম যে শুধু পরাস্ত হল তা-ই নয়, তাদের পিছনে ফেলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে বিজেপি।

বৃহস্পতিবার এই ব্লকের ভোটগণনা হয় পাণ্ডুয়া নিয়ন্ত্রিত বাজারে। এই ব্লকে পঞ্চায়েতের মোট আসন ২৪৮। বিকেল ৪টে পর্যন্ত সরকারি সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১৪৩টি আসনের ফলাফল ঘোষণা হয়। তার মধ্যে তৃণমূল পায় ৮৯টি আসন। বিজেপি ৩১টি, সিপিএম ১৫টি এবং নির্দল ৮টি আসনে জেতে। সন্ধ্যায় সরকারি সূত্রে জানা যায়, ১৬টি পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৪টিতেই জিততে চলেছে তৃণমূল। সরাই-তিন্না এবং পাঁচগড়া তোড়গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু।

Advertisement

এ বারের ভোটে পাণ্ডুয়া শাসক দলের কাছে ছিল ‘প্রেস্টিজ ফাইট’। তৃণমূল নেতারা সে কথা বারে বারেই বলেছেন। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি তথা মন্ত্রী অসীমা পাত্র পাণ্ডুয়ায় কার্যত ঘাঁটি গেঁড়েছিলেন। বৃহস্পতিবারেও তিনি পাণ্ডুয়ায় আসেন। সন্ধ্যায় তিনি বলেন, ‘‘চার দশক ধরে পাণ্ডুয়া সিপিএমের কুক্ষিগত ছিল। আজ এখানকার মানুষ ওদের সমুচিত জবাব দিয়েছে। ১৬টির মধ্যে ১৪টি পঞ্চায়েত আমাদের। এটা উন্নয়নের জয়।’’ সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য অসীমার দাবি মানতে নারাজ। তাঁদের অভিযোগ, গত বছর দেড়েকের মধ্যে তাঁদের জেতা আটটি পঞ্চায়েত ‘গায়ের জোরে’ দখল করে নিয়েছিল শাসক দল। এ বার নির্বাচনেও ‘সন্ত্রাস’ করে জয়ের স্বাদ পেল তৃণমূল।

বিধায়ক আমজাদ হোসেনের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। জেলা সিপিএম সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘এ বারের ভোটকে প্রহসন বললেও কম ব‌লা হয়। এ আসলে অস্ত্রের জয়, মস্তানির জয়, গুন্ডা বাহিনীর জয়। মানুষের রায়ের কোনও প্রতিফলন এখানে হয়নি।’’ এই অভিযোগ ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের অসীমাদেবী। তাঁর দাবি, ‘‘পাণ্ডুয়া সিপিএমের অত্যাচার থেকে মুক্তি পেল। উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গিয়েছে দাঙ্গাবাজরা। কথায় আছে, নাচতে না জানলে উঠোন বাঁকা! সিপিএমের এখন এমনই দশা। বিজেপিও জবাব পেয়ে গিয়েছে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement