—ফাইল চিত্র।
বাম মিছিল থেকে পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে ক়টূক্তির অভিযোগ এবং তাকে কেন্দ্র করে বামেদের সভা বানচাল করার চেষ্টার পাল্টা অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে।
জেলা সম্পাদক-সহ দলের নেতাদের গ্রেফতার এবং জেল হাজতের প্রতিবাদে মিছিল ও সভা ডেকেছিল বামফ্রন্ট। তমলুকের মানিকতলায় শুক্রবার বাম মিছিল থেকে পরিবহণমন্ত্রীকে কটূক্তি করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে। এরই প্রতিবাদে কিছু ক্ষণের মধ্যেই সভামঞ্চে সিপিএমের সাংসদ মহম্মদ সেলিমের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে সভা বন্ধ করার দাবি জানাতে দেখা যায় তমলুকের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর চঞ্চল খাঁড়াকে। বেধে যায় গোলমাল। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
সেলিমের অভিযোগ, ‘‘ওই তৃণমূল নেতার দাবি, শুভেন্দু অধিকারীর নামে কিছু বলা যাবে না। সমালোচনা করা যাবে না। এ তো আমাদের সভা বানচালের চেষ্টা! মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। পুলিশ কিছু করছে না।’’ শুভেন্দুবাবুর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তিনি ফোন ধরেননি। তবে চঞ্চলবাবুর দাবি, ‘‘মিছিল থেকে মন্ত্রীকে কটূক্তি করা হয়। সভাতেও তাঁর নামে অশালীন মন্তব্য করা হয়। তারই প্রতিবাদ জানাতে গিয়েছিলাম।’’ মিছিল থেকে কটূক্তির অভিযোগ অবশ্য সিপিএম মানেনি।
পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া জানান, মিছিল চলাকালীন মন্ত্রীর উদ্দেশে আপত্তিকর মন্তব্যের অভিযোগ এবং অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় এক জনকে আটক করা হয়েছে। তবে কোনও লিখিত অভিযোগ হয়নি।
দিনকয়েক আগে জেলাশাসকের দফতর চত্বরে বাম বিক্ষোভের সময়ে একাধিক সরকারি গাড়ি এবং অফিসে ভাঙচুরের অভিযোগে সিপিএমের জেলা সম্পাদক নিরঞ্জন সিহি-সহ ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তাঁদের মুক্তি ও মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ দিন বামেদের মিছিল যখন হলদিয়া-মেচেদা সড়ক ধরে এগোচ্ছে, তখনই হলদিয়ার দিকে যাচ্ছিল পরিবহণমন্ত্রীর কনভয়। মিছিল থেকে এক কলেজ পড়ুয়া মন্ত্রীকে কটূক্তি করেন বলে অভিযোগ। মন্ত্রীর নিরাপত্তারক্ষীরা তাঁকে ধরে পুলিশের হাতে তুলে দেন। তার পরেই সভায় ওই গোলমাল।
চঞ্চলবাবু যখন বামেদের সভামঞ্চে উঠে সেলিমের হাত থেকে মাইক কেড়ে নিয়ে বলছেন, ‘শুভেন্দুবাবুর নামে এখানে অপমানজনক কথা বলা হয়েছিল। এখানে সভা করা চলবে না’, তখন বাম কর্মী-সমর্থকেরা খেপে ওঠেন। তাঁরা চঞ্চলবাবুকে ধরে ফেলেন। ঠেলে মঞ্চের পিছনে নিয়ে গিয়ে চঞ্চলবাবুকে মারধর করা হয় বলে তৃণমূলের অভিযোগ।