সিঙ্গুরের ভোট মিটল নির্বিঘ্নেই

অশান্তি তো নয়ই, সিঙ্গুরের বহু এলাকায় দেখা গিয়েছে শাসক দলের সঙ্গে বিরোধী সিপিএম এবং বিজেপি কমীরা একসঙ্গে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছেন।

Advertisement

গৌতম বন্দ্যোপাধ্যায়

সিঙ্গুর শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৮ ০৩:৫১
Share:

লড়াই: ভোটের লাইনে মনোরঞ্জন মালিক। নিজস্ব চিত্র

না বোমা-গুলির লড়াই না কোনও হাতাহাতি। রাজ্য জুড়ে পঞ্চায়েত নিবার্চন ঘিরে অশান্তির মাঝেই উল্টো পথে হাঁটল সিঙ্গুর।

Advertisement

অশান্তি তো নয়ই, সিঙ্গুরের বহু এলাকায় দেখা গিয়েছে শাসক দলের সঙ্গে বিরোধী সিপিএম এবং বিজেপি কমীরা একসঙ্গে গণতন্ত্রের উৎসবে সামিল হয়েছেন। এমনকী এ দিন সিঙ্গুর থানায় কোনও দলের পক্ষ থেকে অভিযোগও জানানো হয়নি।

সিঙ্গুরে ভোট পর্বের প্রথম থেকেই বিরোধীরা নয়, প্রশাসনের কাছে মূলত মাথাব্যাথার কারণ ছিল শাসক বনাম টিকিট না পাওয়া বিক্ষুব্ধ তৃণমূল তথা নির্দলরা। মনোনয়ন জমা দেওয়া নিয়েও সিঙ্গুরের বিভিন্ন জায়গায় রীতিমতো আকচা-আকচি ছিল দুই পক্ষের। স্বাভাবিক কারণেই আশঙ্কা ছিল একে অপরকে টেক্কা দিতে দুই পক্ষই ভোটের দিন ময়দানে নামবেন। কিন্তু বাস্তবে দেখা গিয়েছে একেবারে উল্টো ছবি।

Advertisement

ভোটের দিন সকাল থেকেই দু’পক্ষ নিজেদের মতো করে ভোট প্রক্রিয়ায় যোগ দিয়েছে। হাতাহাতি বা ঝামেলায় যায়নি কোনও পক্ষই। তাপসী মালিকের বাবা মনোরঞ্জন মালিক তৃণমূলে প্রতীক না পেয়ে এ বার জেলা পরিষদের নির্দল প্রার্থী হিসেবে ভোটের লড়াইয়ে ছিলেন। এ দিন দুপুর ১২টা নাগাদ বাজেমিলিয়ার প্রাথমিক স্কুলে দেখা মিলল তাঁর। ভোটের আগে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিলেও এ দিন তিনি কিন্তু তাঁর একেবারে অন্য চেহারা। মনোরঞ্জনবাবুর সাফ কথা, ‘‘আজ সকলে শান্তিতে ভোট দিচ্ছেন। কারও কোনও সমস্যা নেই। এটাই স্বস্তির।’’

সিঙ্গুরে না হলেও ওই এলাকার পাশেই চণ্ডীতলার ১৫৪ নম্বর বুথের নবাবপুরে অবশ্য গণ্ডগোলের খবর মিলেছে। এ দিন দুপুরে সিপিএম প্রার্থী শেখ আতাউল-সহ দুই কর্মীকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ ওঠে শাসকদলের বিরুদ্ধে। পুলিশ আতাউলদের উদ্ধার করে চণ্ডীতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। জাঙ্গিপাড়ার রাধানগরে বিজেপির সমর্থকদের ভোট দিয়ে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।

সিপিএমের জেলা সম্পাদক দেবব্রত ঘোষ বলেন, ‘‘এটাকে ভোট বলে না। এটা আসলে লুঠের ভোট।’’ তবে মারধর বা হামলার অভিযোগ মানতে নারাজ হরিপালের বিধায়ক বেচারাম মান্না। তাঁর কথায়, ‘‘দু’একটা ছোট ঘটনা ছাড়া সোমবার ভোট শান্তিতেই মিটেছে।’’ পুলিশ জানিয়েছে, দু’টি ক্ষেত্রেই অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement