এই পোস্ট ঘিরেই বিতর্ক। —নিজস্ব চিত্র।
ভোট দিয়ে উচ্ছ্বাস আর চেপে রাখতে পারেননি তিনি। ভোট দিয়ে বেরিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখে ফেলেন, ‘‘কী আরাম, আর থাকতে পারলাম না।’’ সঙ্গে আপলোড করেন মোবাইল ফোনে তোলা ব্যালট পেপারের ছবিও। তাতে ছাপ মারা রয়েছে তৃণমূল প্রার্থীর পাশে। বৃহস্পতিবার এই পোস্ট নিয়েই বিতর্কে শাসক ও বিরোধীরা।
এ দিন পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে নিযুক্ত ভোটকর্মীদের ভোটগ্রহণ চলছিল উলুবেড়িয়ার ২ ব্লক অফিসে। বিরোধীদের অভিযোগ, উলুবেড়িয়া থানার সিভিক ভলান্টিয়ার জাহাঙ্গির মণ্ডল ভোট দেওয়ার পরে মোবাইলে ব্যালটের ছবি তুলে তা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়েছেন।
এ নিয়ে শোরগোল শুরু হয়। এলাকার সিপিএম নেতা সাবিরুদ্দিন মোল্লা বলেন, ‘‘আমরা বারবারই বলেছি, সিভিক ভলান্টিয়াররা শাসক দলের ক্যাডার। এই ঘটনায় ফের তা প্রমাণ হল।’’ বিজেপির হাওড়া গ্রামীণ জেলার সভাপতি অনুপম মল্লিকও বলেন, ‘‘ব্লক অফিসের সামনে তৃণমূলের নেতারা দাঁড়িয়ে ছিলেন। ভোট দিয়ে মোবাইলে ছবি এনে তা দেখাতে হবে বলে সিভিক ভলান্টিয়ারদের নির্দেশ দিয়েছিলেন ওই নেতারা। সকলে তাই করেছেন। জাহাঙ্গির আরও বড় নেতাদের দেখানোর জন্য গোপন ব্যালটের ছবি পোস্ট করেছেন।’’
বিরোধীদের এই অভিযোগের জবাবে হাওড়া গ্রামীণ জেলার তৃণমূলের সভাপতি ও উলুবেড়িয়া দক্ষিণ কেন্দ্রের বিধায়ক পুলক রায় বলেন, ‘‘ওঁরা মিথ্যে এ সব রটাচ্ছেন। যাঁরা শাসক দলের বিরুদ্ধে এ সব বলছেন, তাঁরা অভিযোগ দায়ের করছেন না কেন?’’
নির্বাচন কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, মোবাইল নিয়ে ভোটাররা ভোটকেন্দ্রে ঢুকতে পারেন না। তা হলে কী করে জাহাঙ্গির মোবাইলে ব্যালটের ছবি তুললেন?
উলুবেড়িয়া ২ বিডিও নিশীথকুমার মাহাতো বলেন, ‘‘বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।’’ হাওড়া গ্রামীণ জেলার পুলিশ সুপার গৌরব শর্মাও বলেন, ‘‘খোঁজ নিয়ে দেখছি।’’ আর কী বলছেন জাহাঙ্গির নিজে? এ দিন বিকেলে তিনি বলেন, ‘‘আমি ভুল করে ওই পোস্ট করে ফেলেছি। জানতাম না এটা অন্যায়।’’ এর কিছু ক্ষণ পরেই তুলে নেওয়া হয় পোস্টটি।
আরও পড়ুন: জিতেও বোর্ড গড়া যাবে কি? বিনাযুদ্ধের ৩৪% ঘিরে সংশয়