গুলি লাগার পর মাটিয়ে লুটিয়ে পড়ছেন দিলদার খান। ফাইল চিত্র।
সিউড়ির দিলদার খানের মৃত্যুর ঘটনায় চার জনকে ধরল পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে সিউড়ি ১ ব্লকের বিভিন্ন এলাকা থেকে তাঁদের ধরা হয়। বিজেপির দাবি, ধৃতেরা তাদের সক্রিয় কর্মী। রাজনৈতিক কারণে তাঁদের ফাঁসানো হচ্ছে।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতদের মধ্যে রয়েছেন হুসনাবাদ গ্রামের শেখ সফিউল, সিউড়ি বড়বাগানের গৌতম কোঁড়া, কানাইপুর ভাটিপাড়ার শেখ বাবলু এবং গোবিন্দপুর গ্রামের অসিত সরকার। তাঁদের বিরুদ্ধে খুন, বেআইনি জমায়েত, অস্ত্র ও বিস্ফোরক রাখা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার সিউড়ির সিজেএম আদালতে হাজির করানো হলে মুখ্য বিচারবিভাগীয় ম্যাজিষ্ট্রেট প্রকাশচন্দ্র বর্মন ধৃতদের সাত দিন পুলিশ হেফাজতে পাঠান।
মনোনয়ন জমা দেওয়ার অতিরিক্ত দিন, সোমবার ওই ঘটনার পরে তৃণমূল অভিযোগ করেছিল, ঝাড়খণ্ড থেকে লোক এনে হামলা চালিয়েছে বিজেপি। বুধবার পুরুলিয়ার পুঞ্চায় এক সমাবেশে বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, ‘‘আমরা নাকি ঝাড়খণ্ড থেকে লোক নিয়ে এসে ঝামেলা করছি। কিন্তু অশান্তি ছড়ানোর দায়ে পুলিশ আজ পর্যন্ত এক জন ঝাড়খণ্ডের লোককেও ধরতে পারেনি।’’ তাঁর পাল্টা অভিযোগ, ‘‘নিজেদের গোষ্ঠী-কোন্দলের দায় আমাদের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা
করছে তৃণমূল।’’
গুলিবিদ্ধ হয়ে ছোড়া গ্রামের বাসিন্দা দিলদারের মৃত্যুর পরে, তিনি কাদের সমর্থক তা নিয়ে চাপানউতোরে জড়ায় বিজেপি এবং তৃণমূল। প্রাথমিক ভাবে দু’পক্ষের দাবিই সমর্থন করলেও সোমবার রাতে দিলদারের বাবা তহিদ খান সিউড়ি থানায় লিখিত অভিযোগে জানান, বিজেপির স্থানীয় নেতা শ্যামসুন্দর গড়াইয়ের নেতৃত্বে ঝাড়খণ্ডের সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের হামলায় মারা যান দিলদার।
অভিযোগ উড়িয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি রামকৃষ্ণ রায় বলেন, ‘‘বিরোধী দলের কর্মী খুন হওয়ায় বিপাকে না পড়তে হয়, সে জন্য যা যা করার করেছে তৃণমূল। নিহতকে নিজেদের কর্মী দাবি করা থেকে, শুরু করা, আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করানো— কিছুই বাকি রাখেনি। পুলিশ যাঁদের গ্রেফতার করছে, তাঁরা আমাদের দলের সক্রিয় কর্মী। মিথ্যা অভিযোগে তাদের ফাঁসানো হয়েছে।’’
যদিও তৃণমূলের সিউড়ি ১ ব্লক সভাপতি স্বর্ণময় সিংহ বলেন, ‘‘তদন্তে নেমে যাদের নাম পাওয়া গিয়েছে, শুধু তাদেরই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এতে কোনও রকম রাজনীতি নেই।’’