প্রতীকী ছবি।
যাতায়াতে আছে হাজার আইনি ঝক্কি। তা ছাড়া পঞ্চায়েতের দুই স্তরে দলের কোনও প্রার্থী নেই। তাই এ বার গড়বেতায় ভোট দিতে আসছেন না সিপিএমের প্রাক্তন বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ।
সুশান্তবাবুর বাড়ি গড়বেতা ৩ ব্লকের উড়িয়াসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাচাপড়া গ্রামে। তিনি স্থানীয় বীরসিংহপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় বুথের ভোটার। ২০১৪ সালের লোকসভা এবং ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ওই বুথে ভোট দিয়েছিলেন সুশান্তবাবু। এ বার সিদ্ধান্ত বদল কেন? দিল্লি থেকে ফোনে সুশান্তবাবু বললেন, ‘‘অনেক হয়রানি। অনুমোদন নেওয়া, যাওয়া-আসার সময় গড়বেতা থানায় রিপোর্ট করা, এতদূর যাওয়া। তাছাড়া নির্বাচনটা নিয়েও তো অনিশ্চয়তা! তাই এ বার আর ভোট দিতে যাবও না বলে ঠিক করেছি।’’ ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটও দিতে আসেননি প্রাক্তন মন্ত্রী।
বেনাচাপড়া কঙ্কাল-কাণ্ড মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত সুশান্তবাবু জামিনে মুক্ত থাকলেও আদালতের অনুমতি ছাড়া তিনি নিজের এলাকায় ঢুকতে পারবেন না। এমনকি চন্দ্রকোনা রোডে নিজের বাড়িতে অসুস্থ স্ত্রীর কাছেও তিনি আসতে পারবেন না আদালতের অনুমোদন ছাড়া।
শুধুই কি হয়রানি! নাকি ভোটদানে অনীহার অন্য কারণ আছে? সুশান্তবাবু বলছেন, ‘‘এ বার তো গ্রামে আমাদের প্রার্থীই দিতে দেয়নি তৃণমূল। শুধু জেলাপরিষদে দলীয় প্রার্থী আছেন। গিয়ে আর কী করব!’’ বীরসিংহপুরে গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের প্রার্থী খোকন মালিক বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গিয়েছেন। পঞ্চায়েত সমিতির আসনেও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতেছেন তৃণমূলের ময়না মান্ডি।
দু’জনেই বলছেন, ‘‘উনি (সুশান্ত) ভোট দিতে এলেন কী এলেন না আমাদের কিছু যায় আসে না। মানুষ এখানে সিপিএমকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’’ তবে সিপিএমের চন্দ্রকোনা রোড এরিয়া কমিটির সম্পাদক কমল সাহা বলেন, ‘‘সুশান্তবাবু যদি আসতে না পারেন তাতে ক্ষতি নেই। তাঁর পরামর্শ মেনেই আমরা কাজ করছি।’’