CAG

হিসেব মেলাতে ঢিলেমি, আটকে আর্থিক বিবরণ

দু’মাস আগেই ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষের আর্থিক আয়-ব্যয়ের খসড়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিএজি।

Advertisement

জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০২০ ০৩:১১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

খরচের বিরাম নেই। আদায়ে উৎসাহ ততোধিক। কিন্তু হিসেব মেলাতে গায়ে জ্বর বিভিন্ন দফতরের। তেমনটাই অভিমত রাজ্যের কন্ট্রোলার অ্যান্ড অডিটর জেনারেল (সিএজি) দফতরের। সম্প্রতি ক্যাগ-এর থেকে এমনই একটি চিঠি পেয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে অর্থ দফতর।

Advertisement

দু’মাস আগেই ২০১৯-২০ অর্থ বর্ষের আর্থিক আয়-ব্যয়ের খসড়া রিপোর্ট প্রকাশ করেছে সিএজি। ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে তা চূড়ান্ত করতে চেয়ে সময়সীমা বেধে দিয়েছিল তারা। তার পরেও রাজ্যে সরকারের ৫৬টি দফতরের মধ্যে ২৩টি দফতর ১ অগস্ট পর্যন্ত বার্ষিক আয়-ব্যয়ের হিসেব পাকা করতে পারেনি। এর ফলে সরকারের ২০১৯-২০-র চূড়ান্ত জমা-খরচের খাতা তৈরি করতে পারছে না হিসেব পরীক্ষক সংস্থা। হিসেব চূড়ান্ত না করা দফতরগুলির মধ্যে রাজ্যপালের সচিবালয়, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, রাজ্য মন্ত্রিসভার খরচখরচা থেকে প্রায় সবকটি বড় দফতর রয়েছে। নবান্ন সূত্রে এ খবর জানা গিয়েছে।

সিএজির বক্তব্য, এখনও কৃষি, কৃষি বিপণন, পূর্ত, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, শিল্প-বাণিজ্য,পরিবেশ,মৎস্য, পূর্তের মতো ২১টি দফতর খসড়া রিপোর্ট দেখে চূড়ান্ত মতামত দিয়ে দিয়েছে। ১২টি দফতর হিসেব চূড়ান্ত করার কাজ করছে বলে জানিয়েছে। এগুলির মধ্যে রয়েছে অর্থ,স্বরাষ্ট্র, তথ্য-প্রযুক্তি, শ্রম, সেচ, খাদ্য ও খাদ্য সরবরাহ ইত্যাদি। হিসাব পরীক্ষক সংস্থা সরকারকে জানিয়েছে, রাজ্যপালের সচিবালয়, মন্ত্রিসভার সচিবালয়, মুখ্যমন্ত্রীর দফতর, স্বাস্থ্য, সংখ্যালঘু উন্নয়ন, ভূমি ও ভূমি সংস্কার, তথ্য ও সংস্কৃতি, স্কুল শিক্ষা, পরিবহণ, জনস্বাস্থ্য কারিগরী, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন, উচ্চশিক্ষা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের মতো দফতরগুলি হিসাব পেশের ব্যাপারে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

Advertisement

অর্থ দফতরের কর্তারা জানাচ্ছেন, কোভিড সংক্রমণের প্রকোপ বাড়তে থাকায় দফতরগুলিতে লোকজন কম আসছে। যাঁরা আসছেন তাঁরা করোনা মোকাবিলার নানা কাজে ব্যস্ত। ফলে এ বার অন্যান্য কাজ ঢিমেতালে চলছে। যদিও সিএজির যুক্তি, খসড়া আয়-ব্যয়ের রিপোর্ট পেশ করার পর প্রতিবার হিসাব মেলানোর কাজ দফতরের সংশ্লিষ্ট অফিসারের সঙ্গে বসে হিসাব পরীক্ষকরা করে থাকেন। এ বার করোনার কারণেই অনলাইনে সেই কাজ করার সুবিধা সিএজি দিয়েছিল। রিপোর্ট প্রকাশ পাওয়ার পর যথেষ্ঠ সময়ও পেয়েছিল দফতরগুলি। নবান্ন জানাচ্ছে, সমস্ত দফতরের জমা ও খরচের হিসেব সিএজির ঘরেই জমা হয়। এরপর সেই খসড়া দেখে খুঁটিনাটি শুধরে নিয়ে চূড়ান্ত আয়-ব্যয়ের বিবরণ তৈরি করে হিসাব পরীক্ষক সংস্থা। বিধানসভায় পেশ করার পাশাপাশি পরবর্তী নীতি নির্ধারণের জন্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক ও কেন্দ্রীয় সরকারের কাছেও যায় এই রিপোর্ট। ২০১৯-২০ অর্থবর্ষের খসড়া রিপোর্ট অনুযায়ী,পশ্চিমবঙ্গে ৩৬ হাজার কোটি টাকার আর্থিক ঘাটতি এবং সাড়ে ১৮ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব ঘাটতি হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement