ফের বাংলা সফরে অমিত শাহ। —ফাইল চিত্র
ভোটের মুখে ফের বাংলা সফরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কোচবিহারে এসে রাসমেলা ময়দানের কাছেই পঞ্চানন বর্মার মূর্তিতে মাল্যদান করেন। সেখান থেকে যোগ দেন রাজনৈতিক জনসভায়। জনসভা শেষে রথযাত্রার সূচনা করেন তিনি।
অমিতের এই সভায় গ্রেটার কোচবিহার পিপল্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতা অনন্ত রায়ের থাকার কথা। তাঁর প্রচুর অনুগাম সমর্থক ভিড় জমিয়েছেন সভাস্থলে। অন্য় দিকে অমিতের সভার আগেই কোচবিহার শহরের বিভিন্ন প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ বিরোধী ব্যানার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়।
অমিত শাহের বক্তব্য:
১.২২: কোচ-রাজবংশী, গোর্খা ভাইদের কাছে একটা আর্জি নিয়ে এসেছি। আপনারা শপথ নিন, এ বার পরিবর্তন আনতেই হবে। সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করুন, চলো পাল্টাই। তণমূল সরকারকে ছুড়ে ফেলে দিন। পাঁচ বছরে আমরা বাংলাকে সোনার বাংলা বানিয়ে দেব।
১.১৮: মোদীজি পাঁচ বছরে প্রচুর টাকা দিয়েছে। কিন্তু সেই টাকা মমতা দিদি আর তাঁর ভাইপো সেই সব টাকা আত্মসাৎ করে নিয়েছেন। মমতা দিদি খালি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সব সময় ঝগড়া করেন। তাতে কি রাজ্যের উন্নতি হবে? হবে না। বাংলায় দুর্গাপুজো করতে গেলে কি হাইকোর্টে যেতে হবে? এখানে এটা চলবে না মমতা দিদি। এখানে রমনবমীও হবে, সরস্বতী পুজোও হবে।
১.১২: আমাদের ১৩০ জনেরও বেশি কর্মীকে খুন করা হয়েছে। কিন্তু এখানে আমি ঘোষণা করছি, যারা খুন করেছে, তাদের বেছে বেছে জেলে পোরা হবে। আর ভোটের সময় এ বার আমরা দেখে নেব। কেউ আপনাদের ভোট দানে বাধা দিতে পারবে না।
১.১১: মমতা দিদির একটাই অপেক্ষা, কখন আমার ভাইপো মুখ্যমন্ত্রী হবে। আমাদের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ লড়াই না করলে এত দিন হয়তো ঘোষণাই করে দিতেন। কিন্তু এখন ভয় পেয়ে গিয়েছেন। এ বার সময় এসেছে, মোদীজির বিকাশ আর মমতার বিনাশ-এর মধ্যে একটা বিকল্প বেছে নেওয়ার সময়।
১.১০: এখানে এসে উত্তরবঙ্গে আমি অনেক অভাবী মানুষ দেখেছি। মোদী সরকার একটা যোজনা তৈরি করেছে। আয়ূষ্মান ভারত। কিন্তু আপনি সেটা চালু করতে দেননি মমতা দিদি। কিন্তু আপনারা চিন্তা করবেন না, আমরা ক্ষমতায় এলেই আয়ূষ্মান ভারত চালু হবে।
১.০৮: মমতা দিদি এমন করছেন, যেন এ রাজ্যে জয় শ্রীরাম বলা অপরাধ। কেন? জয় শ্রীরাম কি পাকিস্তানে বলা হবে? আপনি এমন করছেন, কারণ একটা বিশেষ সমাজের তোষণ করে তাঁদের ভোট পেতে চান। কেন? অন্য সম্প্রদায় কি ভোটার নন?
১.০৬: প্রধানমন্ত্রী মোদী পশ্চিমবঙ্গে এসে সম্প্রতি একটা বড় ঘোষণা করেছেন। কৃষকদের পিএম কিসান সম্মান নিধি প্রকল্পের বকেয়া টাকাও দিয়ে দেওয়া হবে। কিন্তু দেরি হয়ে গিয়েছে। আগেই পাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আপনারা চিন্তা করবেন না। বিজেপি ক্ষমতায় এসে প্রথম মন্ত্রিসভাতেই ওই বকেয়া টাকা এবং কিসান সম্মান নিধির টাকা দেওয়া হবে।
১.০৩: মদনমোহন মন্দির ও কামতেশ্বরী মন্দির এবং পঞ্চানন বর্মার জন্মস্থল ঘিরে একটা টুরিস্ট সার্কিট গড়ে তোলা হবে। সারা ভারত থেকে পর্যটকরা আসবেন এখানে। মোদী সরকার ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ এই মন্ত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। সব সমাজ, সব ধর্মের প্রতি সম্মান দিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে।
১.০১: এই সেই ভূমি, যেখানে মুঘলদের বিজয়যাত্রা রুখে দিয়েছিল। নারায়ণী সেনা সেই সময় এই ভূমিকে রক্ষা করার জন্য যে সাহস দেখিয়েছিল, তাকে সম্মান জানাতে আধাসেনায় নারায়ণী ব্যাটালিয়ন গঠন করবে।
১.০০: এই পরিবর্তন যাত্রা বাংলায় পিসি-ভাইপোর দুর্নীতি অবসানের যাত্রা। সোনার বাংলা গড়ার পরিবর্তন যাত্রা। ৫ বছরে আমরা বাংলাকে সোনার বাংলা করে আপনাদের উপহার দেব।
১২.৫৫: আজ চতুর্থ পরিবর্তন যাত্রা শুরু হচ্ছে। তৃণমূলের নেতাদের কথা শুনছিলাম। ওঁরা বলছিলেন, পরিবর্তন যাত্রা কেন হবে। সব ঠিকই তো চলছে। কোচ-রাজবংশী সম্প্রদায়ের উদ্দেশে বলতে চাই, এটা কোনও মুখ্যমন্ত্রী পরিবর্তনের যাত্রা নয়, কোনও সরকার পাল্টানোর যাত্রা নয়। এটা বাংলার অবস্থা পরিবর্তনের যাত্রা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনুপ্রবেশ রুখতে পারবেন না। এটা অনুুপ্রবেশ বন্ধের পরিবর্তন যাত্রা। মানুষ তো দূর, পাখিও ঢুকতে পারবে না, সেই পরিবর্তন যাত্রা।