State News

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পাশে নেই বঙ্গ: সমীক্ষা

রাজ্যের ৫০% মানুষ মনে করেন, ধর্মীয় বিভাজনের জন্যই মোদী সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৬
Share:

ছবি: পিটিআই।

নয়া নাগরিকত্ব আইনের ( সিএএ) বিরুদ্ধে আন্দোলনে রাজ্যের ৫৯ শতাংশ মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সমর্থন করেন। ৫১ শতাংশ মনে করেন, এই আন্দোলনের ফলে রাজনৈতিক সুবিধা পাবে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। এবিপি আনন্দ এবং সিএনএক্স-এর যৌথ সমীক্ষায় এই ফলাফল সামনে এসেছে।

Advertisement

সমীক্ষায় দেখা যাচ্ছে, এই রাজ্যের ৫০% মানুষ মনে করেন, ধর্মীয় বিভাজনের জন্যই মোদী সরকার নাগরিকত্ব আইন সংশোধন করেছে। আবার ৪৩% মানুষের ধারণা, এতে লাভবান হবে বিজেপি। ৫৫% মানুষ জানিয়েছেন, তাঁরা চান না দেশে নাগরিক পঞ্জি (এনআরসি) চালু হোক। এনআরসি চেয়েছেন ৪১%।

যদিও এই ধরনের সমীক্ষাকে গণভোট হিসাবে ধরা উচিত নয়, তবু জনমতের একটি প্রতিফলন এর ফলে ধরা পড়ে। এবিপি আনন্দ-এর সমীক্ষাটি করা হয়েছে গত সপ্তাহের বুধ ও বৃহস্পতিবার, অর্থ্যাৎ প্রধানমন্ত্রী মোদীর কলকাতা সফর ও তার প্রতিবাদে শহর উত্তাল হওয়ার আগে। ২,১৩৪ জনের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে সমীক্ষায়।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাগজ দেখাব না: সোশ্যাল মিডিয়ায় দাপট বিশিষ্টদের ভিডিয়ো বার্তার

সমীক্ষার ফলকে স্বাগত জানিয়েছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘এতেই প্রমাণিত আমরা ঠিক পথে চলছি। আমাদের নেত্রী আন্দোলন সঠিক দিশায় পরিচালনা করতে জানেন। সমর্থনের হার দিনে দিনে আরও বাড়বে।’’

মানতে রাজি নয় সিপিএম ও কংগ্রেস। সিপিএমের পলিটবুরো সদস্য মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘‘প্রতিদিন এই আন্দোলনের চেহারা বদলাচ্ছে। সমীক্ষায় তা ধরা পড়বে না। দুই সরকারের উপর আস্থা চলে যাওয়ায় মানুষ পথে নেমেছে। সেই মেজাজ এভাবে বোঝা কঠিন।’’ কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা অধীর চৌধুরীও বলেন, ‘‘মোদী-দিদি বৈঠকের পরে পরিস্থিতি বদলে গেছে। অনেকেই মনে করছেন তৃণমূলের বিজেপি-বিরোধিতা আসলে নাটক। নির্বাচনও অনেক দূরে। এখনই এ সব বলা যাবে না।’’

বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ আবার বলেন, ‘‘যদি এত মানুষ সিএএ’র বিরুদ্ধে রাস্তায় নামত তাহলে আমরা তো হাঁটতেই পারতাম না। উদ্বাস্তু ও মতুয়াদের এই সমীক্ষায় ধরা হয়েছে বলে মনে হয় না।’’

সমীক্ষা অনুযায়ী, সিএএ’র পক্ষে সমর্থন রয়েছে ৪৩% মানুষের। আবার ৬৩% মানুষ জানিয়েছেন— তাঁরা মনে করেন, মন্দা, মূল্যবৃদ্ধি, বেকারত্ব থেকে নজর ঘোরাতে নরেন্দ্র মোদী সরকার এনআরসি এবং সিএএ সামনে এনেছে। ৭১% মানুষ জানিয়েছেন, সিএএ-র বিরুদ্ধে দেশজোড়া আন্দোলনে অবশ্যই অস্বস্তিতে পড়েছে মোদী সরকার। ৫৯% মানুষ মনে করেন, এই আন্দোলনের জেরেই এনআরসি নিয়ে নিজেদের অবস্থান বদলাতে বাধ্য হয়েছেন মোদী ও বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। তবে ৬৮% মানুষ বলেছেন, সিএএ-র প্রতিবাদ জানাতে বাসে-ট্রেনে আগুন লাগানোর মতো হিংসাত্মক পদ্ধতি নেওয়া ঠিক হয়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement