প্রতীকী ছবি।
নীল তিমির আতঙ্ক ক্রমশই ছড়িয়ে পড়ছে এ রাজ্যেও। উত্তরপ্রদেশ, কেরল, মহারাষ্ট্র, গুয়াহাটির পর এ বার নীল তিমির আতঙ্ক বালির রিষড়াতে। রিষড়ার একটি স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রের হাতে মিলল ‘নীল তিমি’র ছবি।
আরও পড়ুন: নীল তিমি: মোবাইলে রাশ টানতে আবেদন
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের বাঁ হাতে কম্পাস দিয়ে চিরে ওই ছবি এঁকেছিল সে। ছাত্রটিকে জি়জ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, মোবাইলে একটি লিঙ্ক পেয়ে ওই মারণ খেলায় মেতেছিল সে। খেলাটি যে ‘ব্লু হোয়েল’, সেটা সে তখনও জানত না। খেলায় এমন ভাবে মেতে গিয়েছিল যে তার থেকে বার হতেও পারছিল না। তার অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, মানসিক ভাবে খুব ভেঙে পড়েছে সে। তাই আপাতত তাকে মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নিয়ে যাওয়ারই পরিকল্পনা করেছেন বাড়ির লোকেরা।
আরও পড়ুন: তামিলনাড়ুতে কোপ নীল তিমির
পড়াশোনায় বরাবরই মেধাবী ওই ছাত্রটি খেলাধুলোতেও তুখোড়। তার অভিভাবকেরা জানিয়েছেন, গত তিন-চার মাস ধরে সে মানসিক অবসাদে ভুগছিল। পড়াশোনাতেও অমনোযোগী হয়ে পড়েছিল। সবসময় চুপচাপ থাকত। কারও সঙ্গে বিশেষ মিশত না। সবসময় মোবাইল নিয়েই তাকে ব্যস্ত থাকতে দেখা যেত। ছেলেটির মা জানিয়েছেন, রাত তিনটের সময় উঠে সে মোবাইল নিয়ে কিছু করত। জিজ্ঞাসা করলে কোনও উত্তর দিত না। স্কুলের শিক্ষকদেরও এই ব্যাপারে জানিয়েছিলেন তার বাড়ির লোকজন। তবে তাঁরাও প্রথমে বোঝেননি যে ছাত্রটি ‘ব্লু হোয়েল’ নামক মারণ খেলার ফাঁদে পড়েছে। বৃহস্পতিবার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে এক জন শিক্ষকের। ক্লাস চলাকালীন তিনি দেখেন ওই ছাত্রের বাঁ হাতে নীল তিমির ছবি আঁকা রয়েছে। সঙ্গে সঙ্গে স্কুল প্রিন্সিপালকে বিষয়টি তিনি জানান। ছাত্রের বাড়িতেও খবর দেওয়া হয়। তাকে বাড়ি থেকে দূরে এক আত্মীয়ের বাড়িতে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ব্লু হোয়েল মোকাবিলায় ব্যবস্থা নেওয়া শুরু দিল্লির স্কুলগুলির
কয়েক দিন আগেই ‘ব্লু হোয়েল’-এর খপ্পরে পড়ে মাদুরাইয়ের তিরুমঙ্গলম এলাকার ১৯ বছর বয়সী ছাত্র আত্মহত্যা করেছে। রাশিয়ায় জন্ম নেওয়া এই মারণখেলার শিকার বিশ্বজুড়ে একশোরও বেশি।