Mamata Banerjee-CV Ananda Bose

রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীর মামলা শুনবে কোন বেঞ্চ, হল সিদ্ধান্ত, সম্ভাব্য শুনানি এ সপ্তাহেই

রাজ্যপাল বোসের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা ওই মামলাটি মঙ্গলবার হাই কোর্টে শুনানির তালিকায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত তা হয়নি। চলতি সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০২৪ ১৯:২৪
Share:

(বাঁ দিকে)রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের করা মামলার শুনানি কোন ডিভিশন বেঞ্চে হবে, তা স্থির হল। বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায় এবং বিচারপতি বিশ্বরূপ চৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চে উঠছে ওই মামলাটি। মঙ্গলবার ওই মামলাটি শুনানির তালিকায় থাকলেও শেষ পর্যন্ত শুনানি হয়নি। চলতি সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

কলকাতা হাই কোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেছেন রাজ্যপাল। ওই মামলায় হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ অন্তর্বর্তী নির্দেশে জানায়, রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও মানহানিকর মন্তব্য করতে পারবেন না মুখ্যমন্ত্রী। আগামী ১৪ অগস্ট পর্যন্ত ওই নির্দেশ বলবত থাকবে। সিঙ্গল বেঞ্চের ওই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন মমতা। প্রথমে এই মামলায় শুনানির দিনক্ষণ এবং কোন বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হবে, তা জানানো হয়নি। এ বার হাই কোর্টের তরফে জানানো হল, মামলাটি উঠছে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে।

কলকাতা হাই কোর্টে মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রাজ্যপাল যে মামলা করেছিলেন, তাতে তৃণমূলের দুই বিধায়ক সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায়, রেয়াত হোসেন সরকার এবং তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকেও ওই মামলায় যুক্ত করা হয়। আদালতের পর্যবেক্ষণ ছিল, মামলাকারীর দাবি অনুযায়ী, তাঁর মর্যাদা ক্ষুণ্ণ হয়েছে বেশ কিছু মন্তব্যে। ওই রকম মন্তব্য থেকে বিরত থাকা উচিত। সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশের পরেই মুখ্যমন্ত্রীর আইনজীবী সঞ্জয় বসু জানান, ওই নির্দেশের বিরোধিতায় তাঁরা উচ্চতর আদালতে যাবেন। সেই মতোই গত শুক্রবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে মামলা দায়ের করা হয়। সঞ্জয়ের জারি করা বিবৃতিতে বলা হয়েছিল, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর যে যে বক্তব্যকে মানহানিকর বলে মামলা হয়েছে, সে ব্যাপারে আদালত কিছু বলেনি।’’ পাশাপাশি স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়, মুখ্যমন্ত্রী নিজে এক জন মহিলা এবং জনপ্রতিনিধি। তিনি মহিলাদের যন্ত্রণার কথা জানলে, তাঁদের পাশে দাঁড়ানো তাঁর কর্তব্য। এ ছাড়া সংবিধানে বাক্‌স্বাধীনতার অধিকারের কথাও তুলে ধরা হয়েছে বিবৃতিতে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement