—প্রতীকী চিত্র।
শব্দবাজি নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে কালীপুজো যেন আলোর রোশনাইয়ে ভরে থাকে। এ বার পুজো কমিটি ও বাসিন্দাদের কাছে এমনই আর্জি জানাল ব্যারাকপুর পুলিশ প্রশাসন।
দীপাবলি মানেই ব্যারাকপুরে বাজির বাজার। আগে বহুল পরিমাণে নিষিদ্ধ শব্দবাজি বিক্রি হত এই বাজারে। সম্প্রতি বারাসতের দত্তপুকুর থানা এলাকায় বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ ও মৃত্যুর ঘটনার পরে শব্দবাজি নিয়ে বার বার সতর্ক করেছে পুলিশ। কালীপুজোর আগে ব্যারাকপুর কমিশনারেট জুড়ে বিভিন্ন সময়ে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে বেশ কয়েকটি গাড়ি বোঝাই শব্দবাজি আটকও করা হয়েছে। এর মধ্যে বাসুদেবপুর ও শিবদাসপুর এলাকা থেকেই সবচেয়ে বেশি নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করা হয়েছে বলে খবর।
এ বার কালীপুজোর উদ্যোক্তাদের কাছে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের পক্ষ থেকে বার্তা দেওয়া হয়েছে, পুজো শুরু থেকে বিসর্জনে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থদের কথা ভেবে যেন বাজি পোড়ানো হয়। শুধু বিকট শব্দের বাজিই নয়, ধোঁয়া এবং গ্যাস ছড়ায় এমন বাজিও পোড়াতে
নিষেধ করা হয়েছে। ব্যারাকপুর কমিশনারেট এলাকায় সবচেয়ে বড় কালীপুজো হয় নৈহাটি ও ব্যারাকপুরে গঙ্গার ধারের মণিরামপুরে। নৈহাটিতে বেশ কিছু পুরনো পুজোর মধ্যে অন্যতম বড়মার পুজো। এ বছরই প্রথম সেটিতে মূর্তি পুজো চালু হল। নৈহাটি শিল্পাঞ্চলে বড়মার পুজো দিয়েই অন্য কালীপুজো শুরু হয়।
তবে এই অঞ্চলে পুরনো পুজোর আভিজাত্যের সঙ্গে পাল্লা দিচ্ছে থিমের পুজোও।
ব্যারাকপুর মণিরামপুরে বটতলা স্পোর্টিং ক্লাব এ বার ৮০ ফুট উচ্চতার কালী প্রতিমা তৈরি করেছে। যা মহকুমায় অন্যতম উঁচু প্রতিমা। এই ধরনের মণ্ডপে এ বার ভিড় অনেক বেশি হবে বলে মনে করছে প্রশাসন। এ সব জায়গায় আলোর রোশনাইয়ের পাশাপাশি শোভাযাত্রা
চলাকালীন বিভিন্ন রকম বাজি ফাটানোর আশঙ্কা থাকে বলে প্রশাসনের আধিকারিকদের একাংশ জানিয়েছেন।
ব্যারাকপুরের নগরপাল অলোক রাজোরিয়া বলেন, ‘‘দীপাবলি আনন্দের উৎসব। আনন্দ থাকুক সবার মনে। বাজি যেন কারও কাছে ভয় বা আতঙ্কের না হয়ে ওঠে, সেই বার্তাই দিচ্ছি আমরা।’’