সরকারি ‘দায়িত্ব পালনে’অনুষ্ঠানে অনাহূত বাবুল

দু’দিনের পাসপোর্ট পরিষেবা শিবির শুরু হল আসোনসোলে। শনিবার ওই শিবিরের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের দীর্ঘ দিনের দাবি, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। আপাতত, কলকাতার আঞ্চলিক পাসপোর্ট দফতরের তত্ত্বাবধানে ওই শিবিরই ভরসা স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৫ ০০:০১
Share:

একটি পাসপোর্ট পরিষেবা শিবিরে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলে শনিবার শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।

দু’দিনের পাসপোর্ট পরিষেবা শিবির শুরু হল আসোনসোলে। শনিবার ওই শিবিরের উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন দফতরের প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। আসানসোলের দীর্ঘ দিনের দাবি, আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস। আপাতত, কলকাতার আঞ্চলিক পাসপোর্ট দফতরের তত্ত্বাবধানে ওই শিবিরই ভরসা স্থানীয় বাসিন্দাদের।

Advertisement

স্থানীয় প্রেক্ষাগৃহে ওই অনুষ্ঠানে অবশ্য আমন্ত্রণ পাননি এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের শ্রমমন্ত্রী মলয় ঘটক। মলয়বাবুর অভিযোগ, “এলাকায় সরকারি অনুষ্ঠান হল। আমি এক জন মন্ত্রী। কিন্তু আমাকেই ডাকার প্রয়োজন মনে করলেন না উদ্যোক্তারা।” তাঁর দাবি, ওই অনুষ্ঠানে বিজেপি নেতা-কর্মীদের ‘আধিক্য’ ছিল। স্থানীয় তৃণমূলের তরফে অভিযোগ, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে থাকা লাল বাতি লাগানো গাড়িতে বিজেপির স্থানীয় নেতা-কর্মীদেরও এ দিন ঘুরতে দেখা গিয়েছে। যা শুনে বাবুলের পাল্টা জবাব, “মলয়বাবু রাজ্যের মন্ত্রী। এলাকায় পাসপোর্ট শিবির হচ্ছে শুনে তাঁর তো নিজেরই এগিয়ে আসার কথা।” কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর দাবি, অনুষ্ঠানে তিনিও আমন্ত্রিত ছিলেন না। বাবুল বলেন, “সরকারি দায়িত্ব পালন করতে আমন্ত্রণ ছাড়াই ছুটে এসেছিলাম। ওঁদের অনুরোধে শিবিরের উদ্বোধন করেছি মাত্র।”

বিজেপি কর্মীদের সরকারি গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগও উড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বাবুল জানান, তাঁর কনভয়ে দু’টি লালবাতি লাগানো গাড়ি থাকে। তারই একটিতে তিনি নিজে ছিলেন। তিনি বলেন, “অন্য গাড়িটিতে লালবাতি লাগানো ছিল ঠিকই। তবে জ্বালানো হয়নি। লাল বাতি থাকাটা বড় প্রশ্ন নয়। দেখতে হবে সে আলোটা জ্বলছে কী না?”

Advertisement

নিজের লোকসভা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের কাছাকাছি পৌঁছাতে একটি পাক্ষিক কাগজও বের করতে উদ্যোগী হয়েছেন বিজেপি সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়। তিনি জানান, নতুন কাগজটির নামকরণ করা হয়েছে ‘আসান সোল’। এলাকার অভিযোগ, অনুযোগ এবং স্থানীয় উন্নয়নমূলক খবরাখবরই ঠাঁই পাবে ওই কাগজে বলে তিনি জানান। ওই কাগজের জন্য সাধারনের কাছে বিজ্ঞাপনও চেয়েছেন তিনি। তিনি জানান, বিজ্ঞাপন চাওয়া নিয়েও ‘অহেতুক’ বিতর্ক তৈরির চেষ্টা করছে শাসক দল। তিনি বলেন, “কাগজ বের করতে গেলে বিজ্ঞাপন তো লাগবেই। আমি তো সারদার মতো কোনও লগ্নী সংস্থার কাছে হাত পাচ্ছি না!”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement