পাঁচ দিন ধরে আইএনটিটিইউসি-র বিক্ষোভ-আন্দোলনের জেরে লাটে উঠেছে জীবনবিমা কার্যালয়ের কাজকর্ম। বিক্ষোভকারীদের বাধায় অফিসেই ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ কর্মী-আধিকারিকদের। ফলে, সমস্যায় পড়ছেন গ্রাহকেরা। ক্ষতি হচ্ছে সংস্থারও। কাজের স্বাভাবিক পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে পুলিশকে উদ্যোগী হওয়ার আর্জি জানিয়েও ফল হয়নি বলে দাবি আধিকারিকদের।
গত সোমবার থেকে সংস্থার আসানসোল ডিভিশনের অফিসে বিক্ষোভ-অবস্থান শুরু করেছেন সংস্থার প্রায় ৬২ জন চতুর্থ শ্রেণির অস্থায়ী কর্মী। তাঁরা কর্তৃপক্ষের কাছে স্থায়ীকরণের দাবি তুলেছেন। বিক্ষোভকারীদের তরফে প্রবীর সেনগুপ্ত দাবি করেন, বহু বছর ধরে এই কর্মীরা সংস্থায় কাজ করছেন। আগেও একাধিক বার স্থায়ীকরণের দাবিতে তাঁরা বিক্ষোভ-আন্দোলন করেছেন। প্রতি বারই কর্তৃপক্ষ স্থায়ী করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সেই প্রতিশ্রুতি রাখা হয়নি। উপরন্তু পরীক্ষার মাধ্যমে বহিরাগতদের চাকরি পাইয়ে দেওয়া হচ্ছে। প্রবীরবাবুর দাবি, “কর্তৃপক্ষ দাবি না মানলে আমাদের বিক্ষোভ চলবে।”
সংস্থার আসানসোল ডিভিশনের আধিকারিক জ্যোতির্ময় বরাট অবশ্য সাফ জানান, যাঁরা বিক্ষোভ করছেন, তাঁরা আদপেই এই সংস্থার অস্থায়ী কর্মী নন। তাঁরা সকলেই বেসরকারি ঠিকা সংস্থার কর্মী। তাই তাঁদের স্থায়ীকরণের কোনও সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, “মাঝখান থেকে বিক্ষোভকারীরা আমাদের দফতরে ঢুকতে দিচ্ছেন না বলে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।”
শুক্রবার ওই কার্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল আইএনটিটিইউসি-র পতাকা-ফেস্টুন নিয়ে অবস্থান-বিক্ষোভ চলছে। মূল দরজা-সহ দফতরে ঢোকার একাধিক দরজা ঘিরে রয়েছেন তাঁরা। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে সংস্থার কর্মী-আধিকারিকেরা। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন। ভিতরে ঢুকতে দেওয়ার অনুরোধ করছেন। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা মানতে নারাজ। বিমা সংক্রান্ত নানা প্রয়োজনে যে সাধারণ মানুষজন এসেছিলেন, তাঁরাও কাজ না হওয়ায় হতাশ। সংস্থার ডিভিশনাল আধিকারিক জ্যোতির্ময়বাবু বলেন, “গ্রাহকদের কোনও পরিষেবা দিতে পারছি না। আমাদের ক্ষতি হয়ে যাচ্ছে। পুলিশের কাছে অনুরোধ করেছি, বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে আমাদের দফতরে ঢোকার ব্যবস্থা করা হোক। কিন্তু, কোনও সাহায্য পাচ্ছি না।” আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) বিশ্বজিৎ ঘোষ বলেন, “আমরা বিষয়টি জানি। সেখানে যেন কোনও আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি না হয়, তা দেখতে পুলিশ মজুত রাখা হয়েছে।” এক পুলিশকর্তার দাবি, এটি পুরোপুরি ওই সংস্থা ও কর্মীদের বিষয়। তা মেটানোর আলাদা দফতর আছে। পুলিশের পক্ষে জোর করে বিক্ষোভকারীদের হঠিয়ে দিতে গেলে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হতে পারে।
এই আন্দোলনে আইএনটিটিইউসি-র উচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদন আছে কি না জানতে চাওয়া হলে বিক্ষোভকারীদের নেতা প্রবীরবাবুর দাবি, “আমরা সংগঠনের উচ্চ নেতৃত্বের অনুমোদন নিয়েই এই আন্দোলন করছি।” যদিও আইএনটিটিইউসি-র জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি প্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমি এই বিষয়ে কিছুই জানি না। কোনও মন্তব্যও করতে চাই না।”
এই পরিস্থিতিতে সমস্যার সমাধানে গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখে জানানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সংস্থার আসানসোলের কর্তারা।
জেলার সেরাদের পুরস্কার প্রদান নিজস্ব সংবাদাদাতা, বর্ধমান: বাস্কেটবলে রাজ্য নক আউটে খেতাব জয়ী ও কলকাতা লিগে রানার্স জেলার মেয়েদের দলকে পুরস্কার দেওয়া হল ভলি বল ও বাস্কেটবল সংস্থা আয়োজিত অনুষ্ঠানে। অরবিন্দ স্টেডিয়ামে হওয়া ওই অনুষ্ঠানে জাতীয় বাস্কেট ও ভলি বলে যোগ দেওয়া এবং অনূর্ধ্ব ১৯ আন্ত:জেলা ভলিবলে রানার্স জেলার ছেলেদেরকেও সংবর্ধনা দেওয়া হয়। পুরস্কৃত করা হয় প্রথম ডিভিশন লিগ ও নকআউট ভলিবলে চ্যাম্পিয়ন অগ্রদূত সঙ্ঘ ও জেলা নক আউটে খেতাব জেতা মন্ডলজোনা ভলিবল তরুন সঙ্ঘকে। প্রথম ডিভিশন বাস্কেটবলে তিনটি খেতাব জেতা শিবাজী ও রানার্স জাতীয় সঙ্ঘকেও বিশেষ পুরস্কার দেওয়া হয়।