যাত্রা, গানে গাজন মেলা জমজমাট দুই গ্রামে

গাজনে মিলনমেলা পাশাপাশি দুই গ্রামে। আসানসোল গ্রাম ও বুধা গ্রামে গাজনের মেলা খনি-শিল্পাঞ্চলে বহুল পরিচিত। আয়োজকদের কথায়, “এই মেলা লোক উত্‌সবে পরিণত হয়েছে এখন।”

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০১৪ ০২:৫৫
Share:

কাঁকসায় গাজন। নিজস্ব চিত্র।

গাজনে মিলনমেলা পাশাপাশি দুই গ্রামে।

Advertisement

আসানসোল গ্রাম ও বুধা গ্রামে গাজনের মেলা খনি-শিল্পাঞ্চলে বহুল পরিচিত। আয়োজকদের কথায়, “এই মেলা লোক উত্‌সবে পরিণত হয়েছে এখন।”

আসানসোল গ্রাম নিলকন্ঠেশ্বরজিউ ট্রাস্টি বোর্ডের সভাপতি শচীন রায় জানান, ৩১৯ বছর আগে এই গ্রামের প্রতিষ্ঠাতা নকড়ি ও রামকৃষ্ণ রায় এই উত্‌সবের সূচনা করেছিলেন। পূর্ব পুরুষদের কাছ থেকে তাঁরা জানতে পেরেছেন, পুরুলিয়ার কাশীপুর রাজার কাছ থেকে তাঁরা এই এলাকার ইজারা পান। চৈত্রের শিবপুজোয় গাজন উত্‌সবকে কেন্দ্র করে আগে চার দিনের মেলা বসত। এখন সেই মেলা সাত দিনের হয়েছে। ১০ তারিখ ভক্তিমূলক গানের আসর বসে। ১১ এপ্রিল খুদেদের নৃত্যনাট্য পরিবেশন হয়। শনিবার আসানসোলের পাঁচগাছিয়ার কীর্তনিয়া অঞ্জন উপাধ্যায় পালাকীর্তন পরিবেশন করেন। রবি ও সোমবার কলকাতার দলের যাত্রা মঞ্চস্থ হবে। মঙ্গলবার গাজন সন্ন্যাসীদের সম্মানে পঙ্ক্তি ভোজের আয়োজন। ১৬ তারিখ উত্‌সব কমিটির উদ্যোগে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান। বাউল গানের আসর বসবে শেষ দিন, ১৭ তারিখ। আয়োজক সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বছরেও স্থানীয় অভিনেতারাই যাত্রা করতেন। তবে আকর্ষণ বাড়াতে এ বার কলকাতার যাত্রাদল আনা হয়েছে।

Advertisement

পাশেই বুধাগ্রামের গাজন উত্‌সবের বয়স ৪০ বছর পেরিয়েছে। চার দিনের মেলাকে কেন্দ্র করে যাত্রার আয়োজন হয়। স্থানীয় ভাটিয়ালি গায়ক বিষ্ণু সিংহরায়, তবলিয়া সুকান্ত চৌধুরী থেকে এলাকার কাউন্সিলর রকেট চট্টোপাধ্যায়, সকলেই জানান, এই দুই গ্রামে লোক সংস্কৃতির অতীত ঐতিহ্যের আকর্ষণেই উত্‌সব প্রাঙ্গণ মিলনমেলায় পরিণত হয়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement