মেলেনি ছাড়পত্র, রাজবাড়ি ঢেলে সাজার কাজ থমকে

নানা রঙের আলোয় সেজে ওঠবার কথা ছিল পুরো রাজবাড়ি চত্বরের। কথা ছিল পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য ভোল পাল্টে দেওয়া হবে গোটা এলাকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব দফতরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় এখনও শুরু হল না কালনা রাজবাড়ি চত্বরের ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ ব্যবস্থা।

Advertisement

কেদারনাথ ভট্টাচার্য

কালনা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০১৪ ০১:১৮
Share:

রাজবাড়ির এই মন্দির চত্বরেই হওয়ার কথা লাইট অ্যান্ড সাউন্ড।—নিজস্ব চিত্র।

নানা রঙের আলোয় সেজে ওঠবার কথা ছিল পুরো রাজবাড়ি চত্বরের। কথা ছিল পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য ভোল পাল্টে দেওয়া হবে গোটা এলাকার। কিন্তু কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব দফতরের প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র না মেলায় এখনও শুরু হল না কালনা রাজবাড়ি চত্বরের ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ ব্যবস্থা।

Advertisement

২০১২ সালে কালনা শহরের নানা প্রান্তে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা পুরাতাত্ত্বিক নির্দশনগুলি ঘুরে দেখতে এসেছিলেন রাজ্যের তৎকালীন পর্যটন মন্ত্রী রচপাল সিংহ। সেই সময়ই তিনি রাজবাড়ি চত্বরে ‘লাইট অ্যান্ড সাউন্ড’ ব্যবস্থা শুরু করার কথা ঘোষণা করেন। প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো তৈরির জন্য কালনা পুরসভাকে পরিকল্পনা তৈরি করতে বলা হয়। পুরসভা প্রায় ৬৫ লক্ষ টাকা খরচ করে একটি পেশাদার সংস্থাকে দিয়ে পরিকল্পনা তৈরি করে পর্যটন দফতরে জমা দেয়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, এর পর রাজ্য পর্যটন দফতরের পক্ষ থেকে অর্থ বরাদ্দ করা হয়। টেন্ডারও হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও কাজ শুরু হয়নি।

কালনা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চার মাস আগে কালনা পুরসভা, রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ ও রাজ্য পর্যটন দফতরের মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। সেখানে ঠিক হয়েছিল প্রকল্পটির দেখাশোনা ও বিদ্যুৎ বিলের টাকা দেবে কালনা পুরসভা। রাজবাড়ি চত্বরের দেখাশোনার দায়িত্বে রয়েছে কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব দফতর। তাই এই কাজ শুরুর জন্য কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব দফতরের ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট প্রয়োজন। রাজ্য পর্যটন দফতর থেকে আবেদন করার পরে কেন্দ্রীয় পুরাতত্ত্ব দফতর থেকে একটি প্রতিনিধি দল বার কয়েক এসে রাজবাড়ি চত্বর ঘুরে গেলেও এখনও পর্যন্ত ‘নো অবজেকশন’ সার্টিফিকেট পাওয়া যায়নি।

Advertisement

প্রকল্পটি এখনও চালু না হওয়ায় হতাশার সৃষ্টি হয়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে। এলাকার গৃহবধূ কমলা কর্মকার বলেন, “অনেক দিন ধরে শুনছি রাজবাড়ি চত্বরে লাইট অ্যান্ড সাউন্ড প্রকল্প চালু হবে। কিন্তু এখনও তো কিছুই হল না। ” অপর বাসিন্দা বলাই মজুমদার বলেন, “শহরে একই জিনিস দেখতে দেখতে একঘেয়েমি এসে গিয়েছে। রাজবাড়ি চত্বরকে নতুন করে সাজানো হবে শুনে ভাল লেগেছিল। কিন্তু এখনও কাজ শুরু না হওয়ায় প্রকল্পের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দেহ থেকে যাচ্ছে।”

সমস্যার কথা ঊর্ব্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুরাতত্ত্ব বিভাগের কালনা শাখার কর্তারা। কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান তথা কালনার বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুণ্ডু জানান, রাজ্য পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই প্রকল্পের জন্য যে অর্থ বরাদ্দ করেছিল সেটি জেলাশাসকের কাছে রয়েছে। তাঁর আশ্বাস, “পুরাতত্ত্ব বিভাগের দিল্লির কার্যালয় থেকে ছাড়পত্র এলেই কাজ শুরু হয়ে যাবে।” কালনার মহকুমা শাসক সব্যসাচী ঘোষ বলেন, “কিছু দিন হল দায়িত্ব নিয়েছি। প্রকল্পটির ফাইল দেখে জেলাশাসককে বিষয়টি জানাব।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement