মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় চেয়ে বুধবার দুর্গাপুরের মহকুমা শাসকের দফতরে চিঠি দিল অন্ডাল ব্লক কৃষি জমি রক্ষা কমিটি। কমিটির সম্পাদক সুশীল ঘোষ বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আমাদের সমস্যার কথা আমরা তুলে ধরতে চাই।” মহকুমা শাসক কস্তুরি সেনগুপ্ত এদিন সরকারি কাজে বাইরে ছিলেন। মহকুমা শাসকের দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম মাফিক পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
জমি রক্ষা কমিটি সূত্রে জানানো হয়েছে, অন্ডাল বিমাননগরীর জন্য ২ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে অধিগৃহীত প্রায় ১০৯ একর জমির ছ’শোর বেশি জমিমালিক চেক নেননি। ক্ষতিপূরণ পাননি হাজার তিনেক খেতমজুর ও বর্গাদার। কমিটির অভিযোগ, বিমাননগরীর নাম করে জমি নেওয়া হয়। বিমানবন্দর চালু হয়নি। অথচ রিয়েল এস্টেট ব্যবসা চলছে রমরমিয়ে। তাছাড়া জাতীয় সড়কের ধারের জমির জন্য ক্ষতিপূরণের পরিমাণ প্রকল্পের অন্য জায়গার তুলনায় অনেক বেশি হওয়া উচিত ছিল। তা হয়নি। জমি রক্ষা কমিটির আন্দোলনের সমর্থনে এগিয়ে এসেছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই কমিটির সঙ্গে একাধিক যৌথ সভা করেছে বিজেপি। মহকুমা শাসককে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে। পাল্টা তৃণমূলও ‘শিল্প বাঁচাও কমিটি’ গড়ে আন্দোলন শুরু করেছে। বিজেপি’র বক্তব্য, সিঙ্গুরের মতোই অন্ডালেও জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল বাম আমলে। তাহলে রাজ্যের বর্তমান সরকার যদি সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক চাষিদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে অন্ডালের চাষিরা বঞ্চিত হবেন কেন? মঙ্গলবার দুর্গাপুরের গোপালমাঠে সভা করে বিজেপি। সেখানে দলের রাজ্য কমিটির সদস্য নরেশ কোনার বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী সিঙ্গুরের চাষিদের সমর্থনে ২৬ দিন অনশন করেছিলেন। আসানসোল-দুর্গাপুর সফরের সময় তিনি যেন অন্ডালের চাষিদের জন্য ২৬ মিনিট সময় দেন। কারণ, সিঙ্গুরের মতোই অন্ডালের চাষিরাও ক্ষতিগ্রস্ত।” বুধবার সেই দাবি লিখিত ভাবে দুর্গাপুরের মহকুমাশাসককে জানিয়েছে জমি রক্ষা কমিটি। জমি রক্ষা কমিটির সম্পাদক সুশীলবাবু অবশ্য দাবি করেন, আগের দিন স্মারকলিপি দেওয়ার সময়ে মহকুমাশাসকের সঙ্গে এ ব্যাপারে প্রাথমিক কথাবার্তা হয়েছিল। এ দিন তাঁরা লিখিত ভাবে সেই আর্জি জানান।