বাতিল বৈদ্যুতিন জিনিসপত্রের গুদামে বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও এক জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতের নাম মনোজ সাউ। মঙ্গলবার তাঁকে আদালতে তোলা হলে পাঁচ দিন পুলিশি হেফাজতে পাঠানো হয়।
গত ১৭ সেপ্টেম্বর দুর্গাপুরের ভারতী এলাকায় দীর্ঘদিন জমে থাকা পুরনো বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সরাতে গিয়ে আইইডি বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় পাপ্পু রাম নামে এক যুবকের। জখম হন আরও তিন ব্যক্তি। তাঁদেরই এক জন, বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম সারাইয়ের দোকান মালিক শঙ্কর ক্যাওটকে পুলিশ সে দিনই গ্রেফতার করে। ঘটনাস্থল আরও দু’টি আইইডি-র কৌটো উদ্ধার করে সেগুলি নিষ্ক্রিয় করে সিআইডির বম্ব স্কোয়াড। পর দিন ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দলও
কোথা থেকে এবং কী ভাবে আইইডি-র কৌটোগুলি ভারতী এলাকায় ওই পুরনো বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের গুদামে এল, তা জানতে পুলিশ শঙ্করকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জেরা শুরু করে। পুলিশ সূত্রের খবর, জেরায় উঠে আসে মনোজ সাউয়ের নাম। মনোজকে ডেকে পাঠিয়ে শঙ্করের সামনে জেরা করে পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় অসঙ্গতি মেলে। সোমবার রাতে ফের তাঁকে ডেকে পাঠিয়ে জেরা করা হয়। তার পরেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শঙ্কর ভারতী এলাকায় মনোজের ঘর ভাড়া নিয়ে সেখানে পুরনো বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি রাখতেন। ঘটনার দিন দশেক আগে মনোজ বেশি ভাড়ায় স্থানীয় বাসিন্দা ব্রহ্মদেব মাজিকে ঘর ভাড়া দিয়ে দেন। শঙ্কর তখনকার মতো জিনিসগুলি ব্রহ্মদেবের বাড়ির উঠোনে নিয়ে গিয়ে রাখেন। সেখানেই বিস্ফোরণ ঘটে। কী ভাবে ওই পুরনো বৈদ্যুতিন সরঞ্জামের ভিতরে আইইডি-র কৌটোগুলি এসেছে, তা এখনও পরিষ্কার নয় পুলিশের কাছে। পুলিশের দাবি, এর পিছনে মনোজের ভূমিকা থাকতে পারে। তাঁকে জেরা করে আরও তথ্য মিলবে বলে আশা পুলিশের।