বাম আমলে কয়লা লুঠ হয়েছে অবাধে, অভিযোগ দোলার

ইসিএলের ‘রুগ্‌ণ দশা’র জন্য দায়ী ৩৪ বছরের বাম শাসন, লোকসভা ভোটে আসানসোলে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পরে এলাকায় এসে এমনই দাবি করলেন দোলা সেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

রানিগঞ্জ শেষ আপডেট: ১০ মার্চ ২০১৪ ০৩:১৬
Share:

রানিগঞ্জে দোলা সেন।—নিজস্ব চিত্র।

ইসিএলের ‘রুগ্‌ণ দশা’র জন্য দায়ী ৩৪ বছরের বাম শাসন, লোকসভা ভোটে আসানসোলে তৃণমূলের প্রার্থী হওয়ার পরে এলাকায় এসে এমনই দাবি করলেন দোলা সেন।

Advertisement

রবিবার রানিগঞ্জে পঞ্জাবি মোড়ে আইএনটিটিইউসি অনুমোদিত কয়লা খাদান শ্রমিক কংগ্রেসের কেন্দ্রীয় কমিটির কর্মিসভায় হাজির হন দোলা সেন। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, “অবৈধ কয়লা খনন ও পাচারে মৃগয়াক্ষেত্র হয়ে উঠেছিল আসানসোল খনি-শিল্পাঞ্চল। সিপিএম নেতারা পুলিশের সাহায্যে মাফিয়ারাজ কায়েম করেছিল। কোটি কোটি টাকার কয়লা লুঠ হয়েছে। যার জেরে ইসিএল রুগ্‌ণ হয়ে বিআইএফআরে গিয়েছে।” তাঁর দাবি, “গত তিন বছরে তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই অবৈধ কারবার বন্ধ করে ইসিএলের রুগ্‌ণ অবস্থা কাটাতে সাহায্য করেছেন। অল্প দিনের মধ্যেই এই সংস্থা বিআইএফআর থেকে মুক্ত হবে।”

এ দিন তিনি আরও দাবি করেন, তাঁরা ক্ষমতায় আসার আগে প্রতি বছর এ রাজ্যে ৭৬ লক্ষ ৮০ হাজার শ্রম দিবস নষ্ট হত। বর্তমানে তা অনেক কমে এসেছে। বামেদের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, “রাজ্যে ক্ষমতা পরিবর্তনের পরে ওরা ঠিকা শ্রমিকদের নিয়ে বারবার চোখের জল ফেলার নাটক করছে। অথচ ওরা এই খনি-শিল্পাঞ্চলে কেন্দ্রীয় সরকার অনুমোদিত ঠিকা শ্রমিকদের জন্য ন্যূনতম মজুরির দাবিতে লড়াই করেনি। যার জেরে এখনও ওই সব ক্ষেত্রে ন্যূনতম মজুরি মেলেনি।” এ নিয়ে তাঁরা লড়াই করছেন বলে আশ্বাস দেন তিনি। তিনি জানান, বাম আমলে রাজ্য সরকারি ক্ষেত্রে যেখানে ঠিকা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি ছিল ১৩০ টাকা, এখন তা বেড়ে ২৪৫ টাকা হয়েছে। শেষ তিন বছরে বিরোধীদের ডাকা শিল্প ধর্মঘটের কোনও প্রভাব পড়েনি বলেও দাবি করেন দোলাদেবী।

Advertisement

এই কর্মিসভার আগে এ দিন তিনি আসানসোল বিএনআর মোড়ে দলীয় কার্যালয়ে নেতা-কমীদের মুখোমুখি হন। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভানেত্রী দোলাদেবী বলেন, “এক দিনের প্রস্তুতিতে এত কর্মী সমাগম দেখে আমি জয় সর্ম্পকে নিশ্চিত।” তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী তথা আসানসোলের বিধায়ক মলয় ঘটক।

দোলাদেবীর অভিযোগ প্রসঙ্গে সিপিএমের এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থী বংশগোপাল চৌধুরীর বক্তব্য, “এ সব অপপ্রচারের কোনও জবাব দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করি না।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement