ফের হুমকি, অভিযুক্ত অলোক

ফের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল জামুড়িয়ার বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা অলোক দাসের বিরুদ্ধে। মিড-ডে মিলের কাজে নিয়োগ নিয়ে স্কুলে ঢুকে তিনি হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। অলোকবাবু অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি। শ্যাম গোষ্ঠীর কারখানা কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরে দলের যুব নেতা অলোকবাবুকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। তা সত্ত্বেও তাঁর এমন আচরণ ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জামুড়িয়া শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৪ ০০:৪৪
Share:

ফের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল জামুড়িয়ার বহিষ্কৃত যুব তৃণমূল নেতা অলোক দাসের বিরুদ্ধে। মিড-ডে মিলের কাজে নিয়োগ নিয়ে স্কুলে ঢুকে তিনি হুমকি দেন ও গালিগালাজ করেন বলে অভিযোগ। অলোকবাবু অবশ্য এই অভিযোগ মানতে চাননি।

Advertisement

শ্যাম গোষ্ঠীর কারখানা কর্তৃপক্ষকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পরে দলের যুব নেতা অলোকবাবুকে বহিষ্কার করে তৃণমূল। তা সত্ত্বেও তাঁর এমন আচরণ ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল। দলের জেলা কার্যকরী সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “অলোককে আমরা বহিষ্কার করেছি। তার বিরুদ্ধে তদন্ত করে দলের উচ্চ নেতৃত্বকে রিপোর্ট দিয়েছি আমি। এখন তার উচিত, কোনও বিশৃঙ্খলায় না জড়ানো। ভাবমূর্তি ঠিক না করলে দল যে ফেরাবে না, তা তার বোঝা উচিত। প্রয়োজনে দল এ দিনের ঘটনারও তদন্ত করবে।”

শ্রীপুর রানাহাট হাইস্কুলের পরিচালন সমিতির সম্পাদক মহম্মদ সাত্তার জানান, তাঁদের স্কুলে মিড-ডে মিলের কাজে নিয়োগের জন্য তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগ করেন, রবিবার সকালে অলোকবাবু তাঁকে ফোন করে দাবি করেন, তাঁর কথা মতো ওই তালিকা তৈরি করতে হবে। এর পরে, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ অলোকবাবু বেশ কিছু সঙ্গীকে নিয়ে স্কুলে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক ওমপ্রকাশ রায়ের ঘরে ঢুকে চেঁচামেচি শুরু করেন। ওমপ্রকাশবাবু সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি ফোন করে জানালে তিনি স্কুলে পৌঁছন। সাত্তারের অভিযোগ, “আমাকে দেখে অলোক সাফ জানান, তাঁর কথা মতো তালিকা তৈরি না করলে স্কুল স্তব্ধ করে দেওয়া হবে। ওদের চিৎকার-চেঁচামেচিতে ছাত্রছাত্রীরা ক্লাসরুম থেকে বেরিয়ে পড়ে। তখন ওরা হুমকি দিতে দিতে চলে যায়।” সাত্তার জানান, এর পরে তিনি আসানসোলে তৃণমূলের জেলা অফিসে গিয়ে ভি শিবদাসনকে গোটা ঘটনা জানান। সেখান থেকে ফিরে জামুড়িয়ার শ্রীপুর ফাঁড়িতে অভিযোগ করেন।

Advertisement

তৃণমূলের জামুড়িয়া ব্লক যুব চেয়ারিং কমিটির সদস্য সত্যজিৎ অধিকারী বলেন, “মহম্মদ সাত্তার আমাদের ফোন করে কী ভাবে তালিকা তৈরি করা হবে, তা জানতে চেয়েছিলেন। ওঁকে বলেছিলাম, স্থানীয় মানুষজনকেই এই কাজে নিয়োগ করতে। এর পরে অলোক দাস সম্প্রতি আমাকেও ফোনে হুমকি দেন। আমিও পুলিশে অভিযোগ করি। তার পরে এ দিন আবার তিনি এমন কাণ্ড ঘটালেন।”

পুলিশ জানায়, এ দিনের অভিযোগের তদন্ত শুরু হয়েছে। অলোকবাবুর অবশ্য দাবি, “আমি কাউকে কোনও হুমকি দিইনি। আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement