পরীক্ষার্থী কমলেও বেড়েছে ছাত্রী

মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে, কিন্তু বেড়েছে ছাত্রী সংখ্যা। সামনের সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বর্ধমান জেলার চিত্রটা এমনই। জেলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে। চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত। এ বার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩,০৬৮। গত বারের থেকে যা ২৪২০ কম। ছাত্র সংখ্যা গত বারের চেয়ে ১২৯৪ কমে এ বার দাঁড়িয়েছে ৩৫,৪১৯ জন।

Advertisement

অর্পিতা মজুমদার

বর্ধমান শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০০:৪৫
Share:

মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা কমেছে, কিন্তু বেড়েছে ছাত্রী সংখ্যা। সামনের সপ্তাহ থেকে শুরু হতে চলা মাধ্যমিক পরীক্ষায় বর্ধমান জেলার চিত্রটা এমনই।

Advertisement

জেলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার থেকে মাধ্যমিক শুরু হচ্ছে। চলবে ৩ মার্চ পর্যন্ত। এ বার মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৮৩,০৬৮। গত বারের থেকে যা ২৪২০ কম। ছাত্র সংখ্যা গত বারের চেয়ে ১২৯৪ কমে এ বার দাঁড়িয়েছে ৩৫,৪১৯ জন। ছাত্রী সংখ্যা আবার গত বারের চেয়ে ৩৩৫ বেড়ে হয়েছে ৩৯,৪৫৬ জন। সুতরাং, শুধু যে গত বারের চেয়ে বেড়েছে তা নয়, ছাত্রীর সংখ্যা এ বার ছাত্র সংখ্যার নিরিখেও বেশি। এ বার পরীক্ষায় বসবে এমন অনুত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীর ক্ষেত্রেও ছাত্রদের তুলনায় ছাত্রীরা সংখ্যায় ভারী। এ বার ৩৩৫৭ জন ছাত্র ফের পরীক্ষায় বসবে। ফের পরীক্ষা দেবে এমন ছাত্রীর সংখ্যা ৪২০৪ জন। কম্পার্টমেন্টাল পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ২৭৬ জন এবং ছাত্রী ৩৫৬ জন।

মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক দফতর সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এ বার পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যা দু’টি কমেছে। আসানসোল জোনে বেশ কিছু ছোট কেন্দ্র এক করে বড় কেন্দ্র করা হয়েছে। এই জেলায় মধ্যশিক্ষা পর্ষদের আঞ্চলিক আধিকারিক অরুণকুমার ভট্টাচার্য জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থার যথেষ্ট কড়াকড়ি থাকছে। কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে তৈরি না হয় সে জন্য কড়া নজরদারি থাকবে কেন্দ্রের ভিতরে। তিনি আরও জানান, জেলা পরিবহণ আধিকারিকের দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করে অতিরিক্ত বাস চলাচলের ব্যবস্থা করার আর্জি জানানো হয়েছে। রাস্তার পাশে কোনও পরীক্ষাকেন্দ্র থাকলে সেখানে বাসের সাময়িক স্টপের ব্যবস্থাও করতে বলা হয়েছে। তিনি বলেন, “পরীক্ষার্থীরা যাতে কোনও ভাবেই সমস্যায় না পড়েন সে দিকে নজর রাখা হয়েছে।”

Advertisement

এ বার পার্শ্বশিক্ষকদের মাধ্যমিক পরীক্ষায় নজরদারিতে নিষেধ করা হয়েছে। কিন্তু এমন সিদ্ধান্তে খুশি নন অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষই। কাটোয়ার একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “সারা বছর ক্লাস নিচ্ছেন পার্শ্বশিক্ষকেরা। বহু স্কুলেই নিয়মিত শিক্ষকের অভাব ঢেকে দিচ্ছেন। অথচ, মাধ্যমিকে তাঁদের কাজ করতে দেওয়া যাবে না, এটা ঠিক না।” অনেক স্কুল কর্তৃপক্ষ আবার এমন সিদ্ধান্তের পক্ষেও সওয়াল করছেন। দুর্গাপুরের একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক যেমন বলেন, “পরীক্ষার হলে নজরদারির ক্ষেত্রে কোনও গাফিলতি হলে অস্থায়ী শিক্ষকদের শাস্তি দেওয়ার কোনও সুযোগ নেই। সে ক্ষেত্রে এমন সিদ্ধান্ত যথাযথ।” পর্ষদের আঞ্চলিক আধিকারিক অরুণবাবু জানান, পার্শ্বশিক্ষকদের না নেওয়ার জন্য যদি কোনও স্কুলে পরীক্ষার সময়ে পর্যাপ্ত শিক্ষক না মেলে সেক্ষেত্রে জেলা স্কুল পরিদর্শকের মাধ্যমে আশপাশের স্কুল থেকে শিক্ষক নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।

মাধ্যমিকে বর্ধমান

• মোট পরীক্ষার্থী ৮৩,০৬৮।

• গত বারের চেয়ে পরীক্ষার্থী কমল ২৪২০ জন।

• পরীক্ষায় বসছে ৩৫,৪১৯ ছাত্র।

• পরীক্ষায় বসছে ৩৯,৪৫৬ ছাত্রী।

• জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র কমল দু’টি

• ফের পরীক্ষায় বসবে ৩৩৫৭ ছাত্র ও ৪২০৪ ছাত্রী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement