বাড়ির পাশের পুকুর থেকে দেহ মিলল ১৩ দিনের এক শিশুর। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে তার জেঠিমা কবিতা শর্মাকেও। মঙ্গলবার সকালে রায়নার বারবকপুর-ক্যানেলপুরে ক্ষতবিক্ষত ওই শিশুর দেহ ভেসে উঠতেই চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। পুলিশের অনুমান, মাছে শিশুটির দেহ ঠুকরে খেয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাত থেকেই খোঁজ মিলছিল না শিশুটির। ওই দিন শিশুটির মা রীনা শর্মা স্বামী দীননাথকে দোতলায় ভাত দিতে গিয়েছিলেন। ঘুমন্ত শিশুটিকে শুইয়ে গিয়েছিলেন নিচতলার একটি ঘরে। কিন্তু ভাত বেড়ে দিয়ে নীচে নামার পরেই দেখেন বিছানা ফাঁকা। শিশুটি কোথাও নেই। বাড়ির চারপাশে খুঁজেও ১৩ দিনের ওই শিশুর চিহ্ন না মেলায় রায়না থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন তাঁরা। পরে এ দিন সকালে দেহটিকে ভেসে উঠতে দেখা যায়।
শিশুটির মামা পচন শর্মার অভিযোগ, “দিদি বুঝতে পারেননি যে ১৩ দিনের শিশুকে কেউ খুন করতে পারে। শিশুটির জ্যাঠা, জেঠিমা, দাদু, ঠাকুমা ও এক পিসির বিরুদ্ধে থানায় খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে।” শিশুটির দাদু বাসুদেববাবুকে নিয়ে পুলিশ বর্ধমানের মেডিক্যাল কলেজ মর্গে ময়না তদন্ত করাতে আসে। বাসুদেববাবুর কথায়, “পুলিশ আমাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। তবে আমি কিছু বলতে পারছি না। কারণ প্রত্যেকেই আমার নিজের ছেলেমেয়ে। শিশুটির দেহ কি করে পুকুরে গেল আমি জানিনা।”
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর জেঠিমা কবিতা দেবী জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন শিশুটিকে তিনিই জলে ফেলে দিয়েছিলেন। তবে কেন এই কাজ করেছেন, তা তিনি বলতে চাইছেন না। বাকিদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।