নানা দাবি-দাওয়া নিয়ে দু’দিন ধরে বিক্ষোভ দেখাল ‘স্টিল এমপ্লয়িজ ফোরাম অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’।
ওই সংগঠনের অভিযোগ, কারখানার বর্তমান শ্রমিক ও অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের পুনরায় আবাসন লিজ দিতে হবে, অবসরপ্রাপ্ত যাঁরা এখনও কারখানার আবাসনে আছেন, তাঁদের বকেয়া টাকা আটকে রেখেছে কারখানা কর্তৃপক্ষ। সেই সব টাকা সুদ-সহ ফেরত দিতে হবে। অবসরপ্রাপ্তদের আবাসনের ভাড়া কমাতে হবে। মঙ্গল ও বুধবার দুর্গাপুরের টিএ বিল্ডিংয়ের সামনে এই সব দাবিতেই অবস্থান-বিক্ষোভ করেন ‘স্টিল এমপ্লয়িজ ফোরাম অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার সোসাইটি’র সদস্যেরা।
সংগঠনের তরফে দাবি করা হয়েছে, দুর্গাপুর স্টিল প্ল্যান্টের (ডিএসপি) পক্ষ থেকে বেশ কয়েক বছর আগে আবাসনের লিজ দেওয়া শুরু হয়েছিল। তখন সব শ্রমিকেরা আবাসন লিজ নিতে পারেননি। কিন্তু, তার পর থেকে আর আবাসন লিজ দেওয়া হচ্ছে না। তাঁদের দাবি, অবিলম্বে আবার লিজের পদ্ধতি শুরু করতে হবে। সেলের অন্য কারখানায় অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের থাকার জন্য খুব কম ভাড়ায় আবাসন দেওয়া হয়েছে। সেই সব কারখানায় অবসরপ্রাপ্তদের বকেয়া টাকা মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু ডিএসপি-র আবাসনে থাকা অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের গ্র্যাচুইটি-সহ ফাইনাল বিল মিটিয়ে দেওয়া হয়নি। উপরন্তু, ৪ টাকা বর্গফুট দরে আবাসনের ভাড়া কাটা হচ্ছে। সংগঠনের দাবি, অন্য জায়গার মতো এই কারখানাতেও শ্রমিকদের বকেয়া সুদ-সমেত মিটিয়ে দিয়ে ১ টাকা বর্গফুট দরে আবাসনের ভাড়া নিতে হবে। সংগঠনের অভিযোগ, যাঁরা এই কারখানার শ্রমিক নন, এ রকম বিভিন্ন সংগঠনকে ১ টাকা বর্গফুট দরে আবাসনের ভাড়া দেওয়া হয়েছে। বহু আবাসনেই সেই সব সংগঠনগুলি চড়া দামে ভাড়া খাটাচ্ছে। অথচ, এই কারখানায় ৪০ বছরের উপরে কাজ করা শ্রমিকেরা সেই সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সংগঠনের সহ-সভাপতি অজিত কুমার দাঁ বলেন, “সেলের অন্য কারখানাগুলি আবাসনের জন্য অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকদের কোনও টাকা বকেয়া রাখেনি। অথচ, ডিএসপি অন্য নিয়মে চলছে। আমরা নিজেদের বাসস্থানের জন্য শেষ দিন পর্যন্ত লড়ে যাব।” ডিএসপি কারখানা কর্তৃপক্ষ জানান, সেলের তরফে এ ব্যাপারে যেমন নির্দেশ দেওয়া হবে, সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।