দম্পতির মৃত্যু, আত্মহত্যার প্ররোচনায় অভিযুক্ত ২ ছেলে

অস্বাভাবিক মৃত্যু হল ইস্কোর এক প্রাক্তন কর্মী ও তাঁর স্ত্রীর। রবিবার ঘটনাটি ঘটে কুলটির আলডি গ্রামে। এ দিন সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় বছর বাষট্টির বৃদ্ধার। বিকেলে মারা যান ৭৫ বছরের বৃদ্ধ। রাতে তাঁদের মেয়ে পুলিশের কাছে দম্পতির দুই ছেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আসানসোল শেষ আপডেট: ২৩ জুন ২০১৪ ০১:২৮
Share:

অস্বাভাবিক মৃত্যু হল ইস্কোর এক প্রাক্তন কর্মী ও তাঁর স্ত্রীর। রবিবার ঘটনাটি ঘটে কুলটির আলডি গ্রামে। এ দিন সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই মৃত্যু হয় বছর বাষট্টির বৃদ্ধার। বিকেলে মারা যান ৭৫ বছরের বৃদ্ধ। রাতে তাঁদের মেয়ে পুলিশের কাছে দম্পতির দুই ছেলের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেন।

Advertisement

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির তিন ছেলেমেয়ে। বড় ছেলে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামের বাড়িতেই থাকেন। তিনি ইসিএলের সোদপুর ওয়ার্কশপে কাজ করেন। ছোট ছেলে দুর্গাপুরে ডিএসপি কারখানায় কর্মরত। তিনি পরিবার নিয়ে দুর্গাপুরেই থাকেন। বৃদ্ধ দম্পতির একমাত্র মেয়ের শ্বশুরবাড়ি আসানসোলের চেলিডাঙায়। পুলিশ জানায়, মৃত দম্পতির বড় ছেলে জানিয়েছেন, রবিবার ভোরে তিনি বাবা-মাকে বিছানায় পড়ে থাকতে দেখেন। মুখ থেকে গ্যাঁজলা বেরোতে দেখে তাঁর সন্দেহ হয়। তাঁদের বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে থাকেন তাঁর কাকা। তাঁকে খবর দেওয়া হয়। সকাল ৭টা নাগাদ অসুস্থ দম্পতিকে আসানসোল হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের সুপার নিখিলচন্দ্র দাস জানান, দম্পতির পাকস্থলীতে কৃষিকাজে ব্যবহার্য এক ধরনের কীটনাশক পাওয়া গিয়েছে। সুপারের বক্তব্য, “হাসপাতালে আনতে অনেক দেরি করা হয়েছে। আরও তাড়াতাড়ি আনলে বেশি ক্ষণ চিকিৎসার সুযোগ পাওয়া যেত।”

এই ঘটনা নিয়ে চাপানউতোর তৈরি হয় বৃদ্ধ দম্পতির মেয়ে হাসপাতালে পৌঁছনোর পরে। তিনি দাবি করেন, তাঁর দুই দাদার দুর্ব্যবহারের জন্যই আত্মঘাতী হয়েছেন বাবা-মা। তিনি জানান, দুই দাদা ঠিক করেছিলেন, বাবা-মা ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে তিন মাস করে তাঁদের কাছে থাকবেন। কিন্তু এ বার বড় ছেলের কাছে তিন মাস থাকা হয়ে গেলেও ছোট ছেলে বাবা-মাকে নিয়ে যাননি। মেয়ের অভিযোগ, “এই নিয়ে বড়দাদা বাবা-মাকে রোজ গঞ্জনা দিচ্ছিল বলে শুনেছি। দুই দাদাই বাবা-মায়ের ঠিক মতো দেখভাল করত না। আমি কিছু বললে ওরা শুনত না। মানসিক অশান্তি থেকেই বাবা মা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন।” এ দিন রাতে নিয়ামতপুর ফাঁড়িতে দুই দাদার বিরুদ্ধে বাবা-মাকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।

Advertisement

এই অভিযোগ প্রসঙ্গে মৃত দম্পতির বড় ছেলের প্রতিক্রিয়া, “বাবা-মায়ের মৃত্যুর ঘটনা মর্মান্তিক। এ নিয়ে আর কিছু বলার নেই।” মৃতদের ছোট ছেলের সঙ্গে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement