এই দেওয়াল দখল নিয়েই বিতর্ক। সোমবার তোলা নিজস্ব চিত্র।
দেওয়াল দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও কংগ্রেস সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে আহত হলেন দু’জন। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাতে কাটোয়া কলেজ মাঠের কাছে মনমোহনপল্লিতে। দু’পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে দুই আহত-সহ মোট চার জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সমস্যার সূত্রপাত মনমোহনপল্লির একটি বাড়ির দেওয়াল লেখাকে ঘিরে। রবিবার বিকালে কাটোয়া শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে বর্ধমান পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের প্রার্থীর সমর্থনে মিছিল বের হয়েছিল। ওই মিছিলের পরে এলাকায় দেওয়াল লিখন শুরু করে তৃণমূল। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে মনমোহনপল্লির একটি দেওয়ালে লিখতে শুরু করে তারা। কংগ্রেসের দাবি, দীর্ঘদিন ধরেই ওই দেওয়াল তাদের দখলে ছিল। সে কারণে স্থানীয় কাউন্সিলর ঝর্না হালদারের স্বামী নিত্যানন্দ হালদার তৃণমূল কর্মীদের ওই দেওয়ালে লিখতে নিষেধ করেন। তারপরেই গণ্ডগোল শুরু হয়ে যায়।আহত হন তৃণমূল কর্মী শ্রীকৃষ্ণ দেবনাথ। তাঁদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলের পাল্টা দাবি, ওই দেওয়াল আগে কংগ্রেস লিখলেও দিন কয়েক আগে ওই দেওয়ালটি ভেঙে গিয়েছিল। তারপরে বাড়ির মালিক দেওয়ালটি নতুন করে তৈরি করেন। তাই তারা ওই দেওয়ালে লিখেছেন। গণ্ডগোলে আহতদের কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শহর কংগ্রেসের সভাপতি অমর রামের অভিযোগ, “কাটোয়া শহরে তৃণমূলের প্রচার শুরু হওয়ার পরেই কংগ্রেস অস্তিত্বের সঙ্কটে ভুগে আমাদের উপর হামলা চালিয়েছে।” তৃণমূল শহর জুড়ে কংগ্রেসের দেওয়াল দখল করে নিচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেছেন কাটোয়ার কংগ্রেস বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়।
সোমবার ধৃত শ্যামল কুণ্ডু ও সঞ্জিত ঘোষকে কাটোয়া মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাদের ১৪দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এই ঘটনার পরে সোমবার বিকেলে দেওয়াল লিখন নিয়ে অশান্তি এড়াতে সর্বদল বৈঠক করেন এসডিও(কাটোয়া) মৃদুল হালদার। বৈঠকের পরে তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশমত দেওয়াল লিখন করতে হবে। কোনও অভিযোগ পেলে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।”