কুমারডিহির এই বিজেপি অফিসেই হামলা হয় বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি-তৃণমূল কর্মীদের মধ্যে মারপিটের ঘটনায় বেশ কয়েক জন জখম হলেন পাণ্ডবেশ্বেরর কুমারডিহি-এ কোলিয়ারি এলাকায়। দু’দলের এক জন করে কর্মী দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। পুলিশ জানায়, দু’পক্ষই পরস্পরের বিরুদ্ধে পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
বিজেপি-র আসানসোল জেলা সভাপতি নির্মল কর্মকার অভিযোগ করেন, এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ শ’দেড়েক তৃণমূল কর্মী-সমর্থক তাদের কুমারডিহি-এ কোলিয়ারি শাখা কার্যালয়ে হামলা চালায়। তাঁদের বেশির ভাগের মুখ ছিল কাপড়ে ঢাকা। তারা ওই কার্যালয় ভাঙচুর চালানোর পরে সেখানে বসে থাকা বিজেপি-র ১০ জন কর্মীকে মারধর করে। তাদের মধ্যে দু’জন বেশি চোট পান। চন্দন পালকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। বিজেপি-র কুমারডিহি শাখা সম্পাদক উমেশ মিশ্রের নেতৃত্বে পাণ্ডবেশ্বর থানায় অভিযোগ করা হযেছে।
তৃণমূলের পাণ্ডবেশ্বর ব্লক সভাপতি তথা বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী পাল্টা অভিযোগ করেন, স্থানীয় এক বাসিন্দা লটারির টিকিট বিক্রির জন্য একটি ঘর তৈরি করেছিলেন। বেশ কিছু দিন ব্যবসা বন্ধ রাখায় ওই ঘরটি তালাবন্ধ করে রেখেছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার সকালে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, সেই ঘরের মাথায় বিজেপি-র পতাকা উড়ছে। বিজেপি-র জনাকয় কর্মী সেটিকে অফিসঘরে পরিণত করার তোড়জোড় করছেন দেখে ওই বাসিন্দা প্রতিবাদ করেন। তখন বিজেপি কর্মীরা মারমুখী হয়ে ওঠে বলে অভিযোগ। এই খবর পেয়ে তৃণমূল কর্মীরা সেখানে পৌঁছে ওই বাসিন্দাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন। তখনই বিজেপি-র লোকজন হামলা চালায় বলে নরেন্দ্রনাথবাবুর অভিযোগ। তিনি জানান, তৃণমূলের তিন কর্মী জখম হন। এক জনের আঘাত গুরুতর। তাঁকে দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অভিযোগ দায়েরের পরেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি বলে ক্ষোভপ্রকাশ করেন তৃণমূল নেতারা।
বিজেপি অবশ্য ঘর দখল করে অফিস তৈরির অভিযোগ মানেনি। আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের এডিসিপি (পূর্ব) সুনীল যাদব জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তদন্ত চলছে। উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।