জন্মদিনের উপহার জয়, বলছেন সুনীল

তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে। তারই মধ্যে পেয়ে গেলেন বড় উপহার। তা-ও একেবারে নিজের জন্মদিনে। বর্ধমান-পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল শুক্রবার পা দিলেন ৫৮ বছরে।

Advertisement

সৌমেন দত্ত ও কেদারনাথ ভট্টাচার্য

বর্ধমান ও পূর্বস্থলী শেষ আপডেট: ১৭ মে ২০১৪ ০২:১৬
Share:

তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন মাত্র সাড়ে তিন মাস আগে। তারই মধ্যে পেয়ে গেলেন বড় উপহার। তা-ও একেবারে নিজের জন্মদিনে। বর্ধমান-পূর্ব লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী সুনীল মণ্ডল শুক্রবার পা দিলেন ৫৮ বছরে।

Advertisement

মাত্র মাস তিনেক আগে তিনি ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে যোগ দিয়েছিলেন তৃণমূলে। ছেড়ে দেন গলসির বিধায়ক পদও। তার পরেই তাঁকে বর্ধমান পূর্ব কেন্দ্রের প্রার্থী করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১ লক্ষ ১৪ হাজার ৩৭৯ ভোটে জিতে নেত্রীর সেই আস্থার মর্যাদা দিলেন স্কুলশিক্ষক সুনীলবাবু।

এ দিন ভোটগণনা শেষে আপাদমস্তক সবুজ আবিরে ডুবে সুনীলবাবু দুই ছেলেকে পাশে নিয়ে বললেন, “জন্মদিনে মানুষ যে ভালবাসা দিলেন, এর চেয়ে বড় উপহার আর হয় না।” সুনীলবাবুর ছেলে সৌভিক বলেন, “বাবার জন্মদিনে স্বস্তির খবর পেলাম।”

Advertisement

সুনীলবাবুর জয়ের পরে স্বস্তিতে তৃণমূল নেতৃত্বও। সদ্য দলে যোগ দেওয়া এই প্রার্থীর হয়ে প্রচারে ঝাঁপাতে নানা এলাকায় অনীহা দেখা গিয়েছিল দলেরই একাংশের বিরুদ্ধে। সেই সব প্রাথমিক সমস্যা কাটিয়ে প্রার্থী বড় জয় পাওয়ার পরে জেলা তৃণমূল সভাপতি (গ্রামীণ) স্বপনবাবু বলছেন, “এলাকায় যত বেশি আমাদের সরকার উন্নয়ন করেছে, তত মজবুত হয়েছে দলের সংগঠন। একই সঙ্গে দলের নেতা-কর্মীদের অক্লান্ত পরিশ্রমের উল্লেখও করতে হবে।”

বস্তুত, স্বপনবাবুর নিজের এলাকা পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা এলাকায় সব চেয়ে বেশি ব্যবধানে এগিয়েছেন সুনীলবাবু। সেখানে তিনি সিপিএম প্রার্থীর থেকে প্রায় সাঁইত্রিশ হাজার ভোট বেশি পেয়েছেন। এক সময়ে বিজেপি-র গড় হিসেবে পরিচিত ছিল এই পূর্বস্থলী। কিন্তু এ বার জেলা অন্য সব এলাকায় মোট ভোটের উপরে বিজেপি ভাল থাবা বসালেও পূর্বস্থলীতে সেই তুলনায় ভোটব্যাঙ্কে ভাগ বসিয়েছে কম।

তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে বিজেপি-র অনেক নেতা-কর্মীকে নিজের দলে টেনেছেন তিনি। তাঁদের মধ্যে অনেককে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থীও করেছিল। স্বপনবাবু বলেন, “আমাদের সংগঠন বাড়ায় বিজেপির ভোট কমেছে।” পূর্বস্থলী উত্তর কেন্দ্রেও আশানুরূপ ফল হয়নি বিজেপি-র। প্রার্থী সন্তোষ রায় বলেন, “মেমারি, জামালপুর, রায়না, কাটোয়া থেকে ভাল ভোট পেলেও পূর্বস্থলী উত্তর ও দক্ষিণে তা আশা মতো পাইনি।” পূর্বস্থলী উত্তরের তৃণমূল বিধায়ক তপন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “গত পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই আমার এলাকার বিজেপি নেতা-কর্মীরা তৃণমূলে নাম লেখাতে শুরু করেন। সিপিএম, কংগ্রেস ছেড়েও অনেকে এসেছেন। তাই এই ফল অস্বাভাবিক নয়।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement