বারাবনির সরিষাতলি এলাকায় শনিবার শৈলেন সরকারের তোলা ছবি।
প্রায় রোজই মোটরবাইক, সাইকেল এমনকী গরুর গাড়িতেও হানা দেয় কয়লা চোরেরা। তারপর দিনের আলোয় অবাধে কয়লা কেটে ফিরতি পথ ধরে। আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বহু খনিতে এভাবেই চলে কয়লাচুরি।
বারাবনির সরিষাতলি এলাকার একটি বেসরকারি খনি থেকেও কয়লা চুরির অভিযোগ উঠেছে। ওই বেসরকারি কয়লা উত্তোলনকারী সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, খোলামুখ খনি থেকে কয়লা কেটে তোলার পরে সেই কয়লা চুরি যায় এভাবে। শুধু সরিষাতলিই নয়, আশপাশের পারুলবেরিয়া, রসুনপুর, দাসকেয়ারি-সহ আরও কয়েকটি গ্রামেও এভাবেই দৌরাত্ম্য চলে কয়লাচোরেদের। স্থানীয় বাসিন্দারাই জাননা, খোলামুখ খনির পাশাপাশি ভূগর্ভে অবৈধ খনি কেটেও কয়লা চুরি করা হচ্ছে। সাইকেল, গরুর গাড়ি এমনকী মোটরবাইকে চাপিয়ে সেই কয়লা আসানসোল শিল্পাঞ্চলের একাধিক স্পঞ্জ আয়রন কারখানা-সহ অজয় পেরিয়ে বীরভূমের নলাতেও পাচার হয়ে যাচ্ছে। তবে কয়লার ভাগ নিয়ে মাঝেমাঝেই কয়লা চোরেদের নিজেদের মধ্যে ব্যাপক গণ্ডগোল বাধে। তবে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে অভিযোগ হয়না। শনিবার দুপুর আড়াইটে নাগাদও বারাবনির দাসকেয়ারি গ্রামে ওই কয়লা চুরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষ বাধে। পরে অবশ্য পুলিশের উপস্থিতিতে দু’পক্ষের আপোষ মীমাংসা করা হয়। আপাতত এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যদিও কোনও পক্ষই অভিযোগ দায়ের করেনি।
ক্রমাগত বেআইনি কয়লাখনি তৈরি করার ফলে ভূগর্ভস্থ কয়লার স্তরে আগুন লেগে গিয়েছে বলেও স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। ফলে রসুনপুর, সরিষাতলি এলাকায় মাঝে মাঝেই মাটির নীচ থেকে আগুন ও ধোয়াঁ বেরিয়ে আসে। বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে ধসও নামে। ধসের ফলে আশপাশের গ্রামগুলি বিপন্ন হয়ে উঠছে। ওই বেসরকারি খনির কর্তাদের অভিযোগ, বহুবার পুলিশের কাছে আবেদন করা হয়েছে। তবুও কাজ হয়নি। পুলিশের অবশ্য দাবি, কমিশনারেট হওয়ার পরে কয়লা চুরিতে অনেকটাই রাশ টানা গিয়েছে।