হিন্দুস্তান কেব্লস কারখানা পুনরুজ্জীবনের আন্দোলনে সব শ্রমিক সংগঠনকে একজোট হয়ে লড়াইয়ের প্রস্তাব দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল বিজেপি প্রভাবিত সংগঠন বিএমএস।
শনিবার রূপনারায়ণপুরে বিএমএসের কেব্লস ইউনিটের সম্মেলনের আয়োজন হয়। সেখানেই কেব্লস বাঁচাতে সব শ্রমিক সংগঠনকে পাশে নিয়ে চলার প্রস্তাব ওঠে। এ দিন গঠিত সংগঠনের নতুন কার্যকরী কমিটির সদস্য বিপ্লব রায়ের বক্তব্য, “আমাদের তরফে অন্য শ্রমিক সংগঠনগুলিকে এক সঙ্গে আন্দোলনের প্রস্তাব দেওয়া হবে। তবে কাউকে যদি পাশে না পাই, তবে আমরা একলাই চলব।” তিনি জানান,আসানসোলের সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়ও চান কেব্লসের বিষয়ে কারখানার সব ক’টি সংগঠন এক সঙ্গে চলুক। তাই তিনি সমস্ত শ্রমিক সংগঠনগুলির কাছে যৌথ স্বাক্ষর করা আবেদনপত্র চেয়েছিলেন। তা পাওয়ার পরে দিল্লিতে ভারী শিল্পমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। তার পরেই জানা যায়, কারখানার পুনরুজ্জীবনের প্রক্রিয়া চলছে। দায়িত্ব নেবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক।
বিএমএসের তরফে এই প্রস্তাব এলে তাঁদের আপত্তি নেই বলে জানান আইএনটিইউসি নেতা ঊমেশ ঝা। তাঁর বক্তব্য, “আমাদের প্রথম কাজ কারখানা বাঁচানো। তাই এক সঙ্গে পথ চলতে আপত্তি নেই।” সিটু নেতা প্রদীপ সাহা বলেন, “আমরা যৌথ আন্দোলনে বিশ্বাস করি। এ ক্ষেত্রেও প্রস্তাব এলে আমাদের আপত্তি নেই। তবে শ্রমিকের পাওনা আদায়ে কোনও আপোষ করব না।”
বিএমএসের এই সম্মেলনে কেব্লস কারখানার ২৬৩ জন শ্রমিক-কর্মী উপস্থিত হন। ছিলেন সংগঠনের রাজ্য নেতা রবিশঙ্কর সিংহ, নীহার দত্ত। সম্মেলনে কর্মীরা অভিযোগ করেন, কারখানার আবাসন এলাকায় দুষ্কৃতী-দৌরাত্ম্য বাড়ছে। বেশ কিছু ফাঁকা আবাসন দখল হয়ে গিয়েছে। বিএমএসের সম্মেলন মঞ্চে সিদ্ধান্ত হয়, আবাসনগুলি থেকে বহিরাগতদের বহিষ্কারের জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জানানো হবে। এ ছাড়া কেব্লসের বিদ্যুত্ চুরি বন্ধেও কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি জানানো হবে।