হল বৈঠক। —নিজস্ব চিত্র।
জেলা জুড়ে তিন লক্ষ বারো হাজারেরও বেশি গ্রামীণ পরিবারে শৌচাগার গড়ার লক্ষ্য নিয়ে প্রথম বছর পূর্তির অনুষ্ঠান শুরু করছে জেলা পরিষদ।
আজ, মঙ্গলবার ওই অনুষ্ঠান শুরু আগে সোমবার এক সাংবাদিক বৈঠকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “২০১৪-১৫ বার্ষিক পরিকল্পনা অনুসারে ৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতকে নির্মল গ্রাম করে তুলতে আজ মঙ্গলবার থেকে একমাস ধরে প্রচার চালানো হবে। ২০-২৬ সেপ্টেম্বর পালিত হবে জাতীয় স্বাস্থ্য বিধান সচেতনতা সপ্তাহ।” এ উপলক্ষে জেলা পরিষদের উদ্যোগে সংস্কৃতি লোকমঞ্চে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে বলেও জানান তিনি। পরে প্রতি ব্লকের বিডিও, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পঞ্চায়েতের জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বাড়ি বাড়ি ঘুরে শৌচাগার নির্মাণের কথা বলা হবে।
জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানান, জেলায় প্রায় ১২ লক্ষ গ্রামীণ পরিবার আছে। তাদের মধ্যে ৭ লক্ষ ৬২ হাজার ৯৯১টি পরিবারে শৌচাগার নির্মিত হয়ে গিয়েছে। ২০১৩ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে জেলার ৪ লক্ষ ৩১ হাজার ৬৯০টি পরিবারে শৌচাগার নেই। ২০১৪-র অগস্ট পর্যন্ত আরও প্রায় ১ লক্ষ ১৯ হাজার ৬১১টি শৌচাগার নির্মিত হয়েছে। বাকি ৩ লক্ষ ১২ হাজার ৭৯টি পরিবারের শৌচাগার ২০১৬-র মধ্যে নির্মাণের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে জেলা পরিষদ সার্বিক স্বাস্থ্যবিধান প্রকল্পের আওতায় অভিযান চালাবে। জাতীয় পর্যায়ে এটি স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্প বলে পরিচিত।
জেলাশাসক আরও বলেন, “একটি শৌচাগার নির্মাণের জন্য ওই প্রকল্পে অনুদান দেওয়া হবে দশ হাজার টাকা। উপভোক্তাকে দিতে হবে ৯০০ টাকা। যাঁদের পক্ষে ওই টাকাও দেওয়া সম্ভব হবে না, তাদেরও ওই ৯০০ টাকা জেলা পরিষদের তরফে অনুদান দেওয়া হবে।” যেখানে পরিবারের শৌচাগার নির্মাণের জায়গা নেই, সেখানে পাশের বাড়ির মালিককে ওই শৌচাগার নির্মাণের জন্য জায়গা দিতে বলা হবে। অন্যথায় কয়েকটি পরিবারকে নিয়ে একটি যৌথ শৌচাগার নির্মিত হবে বলেও জানান তিনি। জেলা পরিষদের পরিবেশ স্থায়ী সমিতির কর্মাধক্ষ্য গোলাম জার্জিস বলেন, “নয়ের দশকে সার্বিক সাক্ষরতা অভিযান চালানো হয়েছিল। পরে বর্ধমান জেলা দেশের দ্বিতীয় সাক্ষর জেলার মর্যাদা পায়। আশা করা হচ্ছে, এই স্বচ্ছ ভারত অভিযান প্রকল্পও বাস্তবায়িত হবে। বর্ধমান জেলায় এমন কোনও পরিবার থাকবে না, যাদের বাড়িতে শৌচাগার নেই।”