একশো দিনের প্রকল্পে ভাল কাজ করায় দেশের অন্যতম জেলা হিসাবে জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে বর্ধমান। বুধবার কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরের তরফে জেলাশাসককে চিঠি দিয়ে এই খবর জানানো হয়। বর্ধমানের জেলাশাসক সৌমিত্র মোহন জানিয়েছেন, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি বিজ্ঞান ভবনে ওই পুরস্কার দেবে গ্রামোন্নয়ন দফতর।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, অনেক মাপকাঠি পেরিয়ে গোটা দেশের ১৩টা জেলাকে চূড়ান্ত পর্বের জন্য বাছা হয়েছিল। তার মধ্যে থেকে বর্ধমান জেলা একশো দিনে ভাল কাজ করায় পুরস্কার পাচ্ছে। ২০১৩-১৪ আর্থিক বছরের জন্য গত নভেম্বরে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতরে প্রস্তাব পাঠায় জেলা। ডিসেম্বরে গ্রামোন্নয়ন দফতর এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে। তারপর বিভিন্ন বিষয় খতিয়ে দেখার কাজ চলে। শেষ পর্যায়ে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন দফতর থেকে একটি বিশেষ দল ২১ ও ২২ জানুয়ারি জেলা জুড়ে সরেজমিনে ১০০ দিনের কাজ দেখে যায়। জেলার নোডাল অফিসার কাজলকুমার রায় বলেন, “১০০ দিনের কাজের প্রয়োগ সংক্রান্ত কার্যকরী উদ্যোগ বিভাগে খুব ভালো কাজ করার জন্য আমাদের জেলা জাতীয় পুরস্কার পাচ্ছে। পুরস্কার নিতে বর্ধমানের জেলাশাসক দিল্লি যাবেন।”
জেলা প্রশাসনের দাবি, শিল্পাঞ্চল এলাকায় ভাল কাজ ও তফসিলি জাতি-উপজাতিদের মধ্যে কর্মদিবস তৈরি করার জন্যই বর্ধমান জেলা জাতীয় পুরস্কার পেতে চলেছে। এ ছাড়া কর্মদিবস তৈরি, গড় কাজ ও টাকা খরচের দিক থেকেও বর্ধমান জেলা অনেক এগিয়ে রয়েছে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে ২ কোটি ৮৯ লক্ষ কর্মদিবস তৈরি করা হয়েছিল, যার ৫৪ শতাংশই তফসিলি জাতি ও উপজাতির শ্রমিকেরা তৈরি করেছেন। ১০০ দিনের প্রকল্পে মোট ৭০০ কোটি টাকা খরচ করেছিল বর্ধমান জেলা প্রশাসন। গত আর্থিক বছরে শ্রমিকরা গড়ে ৩৬ দিন কাজ পেয়েছিলেন। জেলার নোডাল অফিসার জানান, কয়লা খনি এলাকায় জমি তৈরি করে, সেচ ব্যবস্থা করে ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে কৃষির উন্নতি ঘটানোটাই বড় সাফল্য বলে মনে করা হচ্ছে।