পুজোর পাতে তুফান।
কোথাও কইয়ের হরগৌরী, দিব্যগন্ধী ডাব চিংড়ি, আবার কোনও জায়গায় চিরন্তনী চিতল মুইঠা, পরমাদ্রিত পাবদা ঝাল, এরকমই হরেক মেনু নিয়ে পুজোর দিনগুলিতে হাজির হয়েছে দুর্গাপুরের বিভিন্ন রেস্তোঁরা ও হোটেল।
ক্ষুদিরাম সরণির একটি হোটেলে প্রতি বছর পুজোর দিনগুলিতে আয়োজন করা হয় ফুড ফেস্টিভ্যাল। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি। হোটেল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁদের আয়োজিত ফুড ফেস্টিভ্যাল শহরের ভোজন রসিকদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। ক্ষুদিরাম সরণিতেই রয়েছে আরও একটি হোটেল। সেখানে সারা বছরই শুধুমাত্রই বাঙালি পদ পাওয়া যায়। সংস্থার কর্ণধার কবি দত্ত বলেন, “আমাদের বাঙালি রেস্তোঁরায় সারা বছরই ভিড় লেগে থাকে। তবে সবথেকে বেশি ভিড় হয় পুজোর সময়।” তিনি জানান, এ বার পুজোর দিনগুলিতে রেস্তোঁরায় থাকছে ভাত, শাক ভাজা, সুক্তো, চচ্চরি, ডালনা, কচু শাক, লাউ চিংড়ি, মাছ ভাজা ও ইলিশের নানা মেনু। মিলবে কলাইয়ের ডাল, আলুপোস্ত, কচি পাঁঠার মাংস, মাছের ঝোল, মাছের টক। শেষ পাতে থাকছে আমড়া, চালতা, আম, আনারস ও পেঁপের চাটনি, পাঁপড়, পায়েস, দই, মিষ্টি। সিটি সেন্টারের বড় পার্কের পাশের একটি রেস্তোঁরায় পুজো উপলক্ষে থাকছে বিশেষ থালির ব্যবস্থা। ওই সংস্থার পক্ষে শ্যামল গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আমিষ ও নিরামিষ দু’ধরনের থালি রয়েছে। বাঙালি পদের পাশাপাশি মিলবে চাইনিজ ও কন্টিনেন্টাল পদ।”
জাতীয় সড়কের পাশের একটি শপিং মলের মধ্যে রয়েছে বেশ কয়েকটি রেস্তোঁরা। পুজোর দিনগুলিতে সেখানে থাকছে ছাড়ের সুযোগ। ওই শপিং মলের একটি রেস্তোঁরা সংস্থার কর্তা সুশীল কুমার মিশ্র বলেন, “পুজোর দিনগুলিতে বুফের ব্যবস্থা থাকছে।” তবে শুধু বাঙালি পদই নয়, পুজোর সময়ে মোগলাই, চাইনিজের চাহিদাও বেশ ভাল থাকে।
পুজোর দিনগুলিতে যাঁরা বাড়ির খাবারের বাইরে গিয়ে অন্যরকম কিছুর স্বাদ পেতে চান, তাদের কথা মাথায় রেখে হরেক বিদেশী পদের আয়োজন করেছে শহরের বেশির ভাগ রেস্তোঁরা। বিরিয়ানি, চিলি চিকেন, তন্দুরি চিকেন, তন্দুরী রুটি, থেকে বাটার নান, ফ্রায়েড রাইস, পনির বাটার মশালা-সহ লোভনীয় পদ সাজিয়ে ইতিমধ্যেই অপেক্ষা করছেন তাঁরা।
পুজোর গন্ধ মাখা বাঙালি পদ না কি স্বাদ বদলাতে বিদেশি পদএ বারের পুজোয় কার জিত হল সেটা অবশ্য বোঝা যাবে বিজয়ার পর। তবে এ বার লড়াই কিন্তু সেয়ানে সেয়ানে।