অভিযোগ হাজার, দলের দাবি প্রচার নিয়ম মেনেই

অভিযোগ জমা পড়ছে গোছা গোছা। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে অভিযোগ মেটাতে গিয়ে শিল্পাঞ্চলে এখনও পর্যন্ত তেমন বাধার সামনে পড়তে হয়নি বলেই জানাচ্ছে জেলা প্রশাসন। দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক তথা সহকারী রিটার্নিং আধিকারিক কস্তুরি সেনগুপ্ত জানান, ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট সেল’ (এমসিসি) সারা বছরই কাজ করে। ওই সেলের আওতায় ৬টি দল রয়েছে শুধুমাত্র দুর্গাপুর পুর এলাকায়। এর বাইরে বিভিন্ন ব্লকে আলাদা আলাদা এমসিসি দল ঘুরে বেড়াচ্ছে। মহকুমাশাসক জানান, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ওই দলগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় চলে যাচ্ছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

দুর্গাপুর ও আসানসোল শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৪ ০১:০০
Share:

অভিযোগ জমা পড়ছে গোছা গোছা। চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে। তবে অভিযোগ মেটাতে গিয়ে শিল্পাঞ্চলে এখনও পর্যন্ত তেমন বাধার সামনে পড়তে হয়নি বলেই জানাচ্ছে জেলা প্রশাসন।

Advertisement

দুর্গাপুরের মহকুমাশাসক তথা সহকারী রিটার্নিং আধিকারিক কস্তুরি সেনগুপ্ত জানান, ‘মডেল কোড অফ কন্ডাক্ট সেল’ (এমসিসি) সারা বছরই কাজ করে। ওই সেলের আওতায় ৬টি দল রয়েছে শুধুমাত্র দুর্গাপুর পুর এলাকায়। এর বাইরে বিভিন্ন ব্লকে আলাদা আলাদা এমসিসি দল ঘুরে বেড়াচ্ছে। মহকুমাশাসক জানান, অভিযোগ পাওয়া মাত্রই ওই দলগুলি নির্দিষ্ট জায়গায় চলে যাচ্ছে। এছাড়া আরও একাধিক দল শহর চষে বেড়াচ্ছে। তিনি বলেন, “প্রাথমিক ভাবে কোনও জায়গায় কোনও রাজনৈতিক দল হয়তো আপত্তি করেছে। তবে তা মোটেও সীমা ছাড়ায়নি।” তিনি জানান, প্রয়োজনে পুলিশের সাহায্য চাওয়া হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত পুলিশকে কোথাও সেভাবে হস্তক্ষেপ করতে হয়নি। মহকুমা শাসক বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেই সব অভিযোগের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে।”

এমসিসি সেলের কাজে সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছে রাজনৈতিক দলগুলিও। বর্ধমান-দুর্গাপুর কেন্দ্রের সিপিএম প্রার্থী সাইদুল হক বলেন, “আমরা নিয়ম মেনে প্রচার করছি। তবে অনেকেই তা করছে না। নির্বাচনী আধিকারিকদের বিষয়টি আরও মনোযোগ দিয়ে দেখা উচিত।” তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) সভাপতি অপূর্ব মুখোপাধ্যায় বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নিয়ম মেনেই আমরা প্রচার করছি। আমাদের তরফ থেকে সব ধরণের সাহায্যও করা হচ্ছে।” বিজেপির অন্যতম জেলা সম্পাদক অখিল মণ্ডল বলেন, “আমরা নিয়ম মানছি। কিন্তু তামলায় আমাদের পোস্টার, ব্যানার ছিঁড়ে দিচ্ছে তৃণমূল।” তৃণমূল অবশ্য অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

ছবিটা প্রায় এক আসানসোল মহকুমাতেও। সেখানকার মহকুমাশাসক তথা সহকারী রিটার্নিং অফিসার অমিতাভ দাস জানান, ইতিমধ্যে কয়েক হাজার অভিযোগ হয়েছে। প্রায় সবই নিষ্পত্তি করা হয়েছে। সিপিএমের আসানসোল জোনাল সম্পাদক পার্থ মুখোপাধ্যায় বলেন, “নির্দিষ্ট নিয়ম অনুযায়ী প্রচার করছি। তাই আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ওঠেনি।” বিজেপির আসানসোল জেলা সম্পাদক প্রশান্ত চক্রবর্তীও বলেন, “এখনও আমাদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই।” তৃণমূলের জেলা (শিল্পাঞ্চল) কার্যকরী সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, “নির্বাচন কমিশনের সমস্ত নিয়ম মানতে আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” কংগ্রেসের প্রার্থী ইন্দ্রানী মিশ্র বলেন, “সবাই কমিশনের নিয়ম মেনে প্রচার করবে সেটাই প্রত্যাশিত। আমরা তো করছি।”

তবে রাজনৈতিক দলগুলি মুখে যতই নিয়ম মানার কথা বলুক অভিযোগের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছেই। জেলা নির্বাচন দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪২ হাজার অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছে। দিনে গড়ে শ’তিনেক অভিযোগ নথিবদ্ধ হচ্ছে। এক নির্বাচনী আধিকারিক বলেন, “সবাই যদি নিয়ম মেনে প্রচার করছেন তাহলে অভিযোগ নথিবদ্ধ হচ্ছে কিভাবে?” তিনি জানান, সবথেকে বেশি অভিযোগ রয়েছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। দ্বিতীয় স্থানে আছে সিপিএম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement