ঝিনুক দিয়ে তৈরি মণ্ডপে নটরাজের আদলে দেবী, মধুবনী শৈলীর উপস্থাপনায় মণ্ডপ থেকে আর্ট গ্যালারির মাঝে মন্দিরে দেবীর আরাধনা— দর্শনার্থীদের মন কাড়তে এ বার অন্ডাল রেল শহরে কালীপুজোয় এমন নানা থিমের পরিকল্পনা করেছেন উদ্যোক্তারা।
অন্ডাল রেল শহরের নর্থ ইউনাইটেড ক্লাবের পুজো ৪৮ বছরের। মণ্ডপ তৈরিতে ঝিনুকের ব্যবহার দেখে মনে হবে ঝিনুকের মণ্ডপ। ভিতরে নটরাজের আদলে ১০ ফুটের কালী মূর্তি। আয়োজক সংস্থার সম্পাদক টুটু গুপ্ত জানান, পুজোর দিন ও পরের দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। রেল শহরের ঐতিহ্যবাহী ট্রাফিক জিমন্যাসিয়ামের পুজোও ৪৮ বছরে পা দিল। এ বার তারা মণ্ডপের ভিতরে ও বাইরে মধুবনী শৈলীর ছবি দিয়ে সাজ্জাচ্ছেন। ভিতরে মূর্তিও সেই আদলে নির্মিত। ১০ থেকে ১৫ নভেম্বর প্রতি সন্ধ্যায় খুদে ও বড় শিল্পীদের নিয়ে অনুষ্ঠান হবে বলে জানান সংস্থার সাংস্কৃতিক সম্পাদক অজয় চক্রবর্তী। তাঁদের পুজো প্রাঙ্গণে প্রতি বছরের মতো এ বারও ছোট মেলা বসবে। অন্ডাল লোকো গেটের কাছে ইয়ুথ ক্লাবের পুজো শুরু হয়েছিল ৫১ বছর আগে। আয়োজক সংস্থার সভাপিত বিকাশ ঠাকুর জানান, মণ্ডপের সামনে দাঁড়ালে মনে হবে একটি আস্ত আর্ট গ্যালালির মাঝে একটি ঘরে কালী পুজো হচ্ছে। মাটির দেবী প্রতিমা দেখে মনে হবে মোমের তৈরি।
উখড়ার ভারতী সঙ্ঘে মন্দিরের আদলে নির্মিত মণ্ডপে গ্রামীণ পরিবেশে কালী পুজোর দৃশ্য তুলে ধরা হচ্ছে। আয়োজক সংগঠনের সম্পাদক কৃষ্ণেন্দু ভট্টাচার্য জানান, তাঁদের মণ্ডপ প্রাঙ্গণে পুজোর সাত দিন পরে এলাকার বহু মানুষ এক সঙ্গে পাত পেড়ে খিচুড়ি খান। অন্ডালের রেজিমেন্ট ক্লাবের পুজো ৪৩ বছরে পা দিল। পুজো কমিটির সম্পাদক সমীর চট্টোপাধ্যায় জানান, গোগলা পাতা, পাট কাঠি ও বাঁশের ব্যবহারে মন্দিরের আদলে মণ্ডপ সাজানো হচ্ছে। ভিতরে মাটির তৈরি প্রতিমা পাথরের বলে ভ্রম হতে পারে। পুজোর তিন দিন পরে পঙ্ক্তিভোজ ও সন্ধ্যায় বাউল গানের আসর বসবে।