আউশগ্রামের দুর্ঘটনাস্থল। বৃহস্পতিবার। নিজস্ব চিত্র
অজয়ে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গেলেন এক যুবক। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত তাঁর সন্ধান মেলেনি। আউশগ্রাম ২-এর বিডিও সুরজিৎ ভর জানান, উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ার বাসিন্দা, বিজয় মণ্ডল নামে ওই যুবকের সন্ধানে ডুবুরি নামিয়ে তল্লাশি চালানো হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হাবড়ার বাণীপুরের বাসিন্দা বিজয় রঙের কাজ করতেন। দিন দুয়েক আগে আরও দুই বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে আউশগ্রামের গোপালপুর কলোনির শুভম বিশ্বাসের বাড়ি আসেন তিনি। এ দিন দুপুরে শুভমের সঙ্গে তাঁরা তিন জন কুড়ুলের কাছে অজয়ে স্নান করতে যান। বিজয় সাঁতার না জানায় প্রথমে পাড়েই দাঁড়িয়েছিলেন। বাকিরা সাঁতার কাটছিলেন। পরে স্নানের জন্য জলে নেমেই তলিয়ে যেতে থাকেন বিজয়। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আর এক জন বন্ধুও ঘূর্ণির মধ্যে পড়ে যান। ততক্ষণে বাকি দুই যুবকের চিৎকার চেঁচামেচিতে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়ে যান। তাঁদের দাবি, গরু বাঁধার দড়ি ফেলে ওই বন্ধুকে টেনে তুললেও বিজয়কে তাঁরা দেখতে পাননি। এরপরেই পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ঘটনার কথা জানতে পেরেই আউশগ্রাম ২-এর বিডিও এবং আউশগ্রাম থানার আধিকারিক সুজিত পতি তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে চলে আসেন। খবর দেওয়া হয় বিপর্যয় ব্যবস্থাপন দলকে। সন্ধ্যা নাগাদ বর্ধমান থেকে ওই দলটি আসে। এরপরে ডুবুরি নামিয়ে নিখোঁজ যুবকের সন্ধানে তল্লাশি শুরু হয়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, অজয়ের ঘাটের যে জায়গায় বিজয় তলিয়ে গিয়েছেন সেখানকার গভীরতা প্রায় চল্লিশ ফুট। জলে ঘুর্ণিও রয়েছে। ওই এলাকার বালিঘাট থেকে গোপনে বালি তোলায় ঘাটটি বিপজ্জনক হয়ে গিয়েছে বলেও স্থানীয়দের দাবি। তাঁদের ক্ষোভ, নিয়ম না মেনে বালি তোলায় নদের মধ্যে বড় গর্ত হয়েছে। বালি ধসেও যাচ্ছে। বিজয়ও তেমন কোনও জায়গায় তলিয়ে গিয়েছেন বলে তাঁদের আশঙ্কা। যদিও বিডিও-র দাবি, ওই এলাকায় স্থানীয় বাসিন্দারা স্নানের জন্য নামেন না। বহিরাগত ওই যুবকেরা তা না জেনেই ওখানে নেমে পড়ায় বিপত্তি ঘটেছে। সতর্কতামূলক বোর্ড টাঙিয়ে দেওয়া হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।