রাজবব্বর হেলা। —নিজস্ব চিত্র।
নিজের কার্যালয়ে এক যুবককে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল কাউন্সিলর ও তাঁর সাঙ্গোপাঙ্গদের বিরুদ্ধে। সোমবার বার্নপুরের নরসিংহবাঁধ এলাকায় এই ঘটনার পরে দু’পক্ষই থানায় গিয়ে বিক্ষোভ দেখায়। যদিও কোনও তরফে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ। অভিযুক্ত কাউন্সিলর গোটা ঘটনা অস্বীকার করলেও বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে বলে তৃণমূল নেতৃত্ব জানান।
রাজবব্বর হেলা নামে ওই যুবক হিরাপুর থানায় সিভিক ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করেন। পুরসভার ৭৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শরবন সাউ যে পাড়ায় থাকেন, তিনিও সেখানকারই বাসিন্দা। তিনি জানান, এ দিন এক বন্ধুর ব্যক্তিগত কিছু কাজ নিয়ে ওই কাউন্সিলরের কাছে গিয়েছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ‘‘অফিসের সামনে যেতেই আমাকে কাউন্সিলর কিছু আপত্তিকর কথা বলেন। গালিগালাজও করেন। প্রতিবাদ করতেই কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তাঁর লোকজন আমাকে অফিসে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করে।’’ ওই যুবকের দাবি, তিনি কোনও রকমে সেখান থেকে বাইরে বেরিয়ে প্রতিবেশীদের খবর দেন। তার পরেই এলাকায় ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু হয়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ দল বেঁধে হিরাপুর থানায় গিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
কাউন্সিলর অবশ্য সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেন, ‘‘আমার লোকজন ২১ জুলাইয়ের শহিদ দিবসের সমাবেশের পোস্টার সাঁটাচ্ছিল। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার এসে তাতে বাধা দেন। আমাদের কর্মীরা প্রতিবাদ করায় সামান্য তর্কাতর্কি হয়েছে। মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।’’ তাঁর আরও দাবি, ওই যুবককে কেউ কার্যালয়ে ঢোকায়নি। তিনি নিজেই সেখানে ঢুকেছিলেন। যুব তৃণমূলের ব্লক সভাপতি অমিত সেন অবশ্য বলেন, ‘‘পোস্টার সাঁটাতে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে কার্যালয়ের মধ্যেই দলের কর্মীদের সঙ্গে ওই সিভিক ভলান্টিয়ারের ধাক্কাধাক্কি হয়। তিনি চোট পান।’’
পুলিশ জানায়, এলাকায় টহল দেওয়া হচ্ছে। কোনও তরফেই অভিয়োগ করা হয়নি। অভিযোগ জমা পড়লে উপযুক্ত পদক্ষেপ করা হবে। তৃণমূলের আসানসোল জেলা সভাপতি ভি শিবদাসন বলেন, ‘‘পুরো ঘটনা শুনেছি। ওই কাউন্সিলরকে ডাকা হয়েছে। পুলিশকে নিরপেক্ষ তদন্ত করার জন্য বলেছি।’’