পুলিশকর্মীর ছেলেকে খুনের অভিযোগে শেষমেশ মহিলা সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ঘটনার পরে তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন বলে পুলিশ সূত্রের খবর। তিনি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেরে ওঠার পরে শনিবার তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। পুলিশের দাবি, মিঠু যাদব নামে ওই তরুণী জেরায় অপরাধ স্বীকার করেছেন।
৫ অগস্ট সন্ধ্যায় দুর্গাপুরের ডিপিএল কলোনিতে রাস্তার পাশে ঝোপের সামনে থেকে গলা কাটা অবস্থায় উদ্ধার হয় বছর কুড়ির দেবজ্যোতি সাঁতরার দেহ। বর্ধমানের এক পলিটেকনিক কলেজের ছাত্র দেবজ্যোতি কোকওভেন থানার পুলিশকর্মী রঘুনাথ সাঁতরার ছেলে। রঘুনাথবাবু বছরখানেক আগে নিয়ামতপুর থেকে বদলি হয়ে সেখানে আসেন। তিনি সপরিবারে নিয়ামতপুরে থাকার সময়ে মিঠু তাঁর মেয়েকে টিউশন দিতে আসতেন। মিঠুর মা রঘুনাথবাবুর বাড়িতে কাজও করতেন।
পুলিশ তদন্তে জেনেছে, ঘটনার দিন বিকেলে ট্রেনে দুর্গাপুরে এসে রঘুনাথবাবুকে ফোন করে স্টেশনে ডাকেন মিঠু। রঘুনাথবাবু সেখানে গেলে দু’জনের মধ্যে বচসা হয়। তার পরেই মিঠু রওনা দেন স্টেশনের অদূরে থানা লাগোয়া রঘুনাথবাবুর আবাসনের দিকে। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই সাইকেলে চড়ে আসা দেবজ্যোতির সঙ্গে মিঠুর দেখা হয়ে যায় বলে পুলিশ জেনেছে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা পুলিশের কাছে দাবি করেন, মিঠু ও দেবজ্যোতির মধ্যে তুমুল বচসা শুরু হয়। তখনই দেবজ্যোতির গলায় ছুরি বের করে চালিয়ে দেন মিঠু। পরে লোকজন জড়ো হলে নিজের গলায় ছুরি চালিয়েও আত্মঘাতী হওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। পুলিশ জানায়, দুই পরিবারের মাঝে কিছু গণ্ডগোল ছিল। তার জেরেই এমন ঘটনা। ঘটনাস্থল থেকে মিঠুর ব্যাগ, ছুরি, দেবজ্যোতির সাইকেল উদ্ধার করে পুলিশ। রক্তের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়।
রবিবার মিঠুকে আদালতে তোলা হলে ১৪ দিন জেল-হাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। পুলিশের দাবি, মিঠু অপরাধের কথা স্বীকার করেছেন। তাই আর তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার জন্য আদালতে আর্জি জানানো হয়নি।