ইন্দো-আমেরিকান মোড়ের একটি কারখানায়। নিজস্ব চিত্র।
কাজে ফেরানোর দাবিতে শ্রমিকদের একাংশ বিক্ষোভ দেখালেন। বৃহস্পতিবার দুর্গাপুরের ইন্দো-আমেরিকান মোড়ের বেসরকারি ধাতব ব্লেড তৈরির একটি কারখানার ঘটনা। কারখানার আধিকারিকদের ঘিরে বিক্ষোভও হয়। খবর পেয়ে নিউ টাউনশিপ থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
শ্রমিকেরা জানান, ২০১৮-র অক্টোবরে কারখানাটির এক নম্বর ইউনিট বন্ধ হয়ে যায়। বাকি দু’টি ইউনিট চালু ছিল। এক নম্বর ইউনিটে কর্মরত ছিলেন ১২৬ জন শ্রমিক। অভিযোগ, ২০১৯-এর জুনে শেষ বার তাঁরা বেতন পান। পরে ২০২১-এ কারখানার মালিকানা হস্তান্তর হয়। শ্রমিকদের দাবি, কর্তৃপক্ষ বন্ধ ইউনিট দ্রুত চালু করে তাঁদের কাজে ফেরানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। কিন্তু তা আর হয়নি। সংসার চালাতে তাঁদের কেউ দিনমজুর, কেউ বা অন্য কোনও কাজ করছেন। অভিযোগ, অর্থের অভাবে কার্যত বিনা চিকিৎসায় তিন জন শ্রমিকের মৃত্যুও হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কারখানা কর্তৃপক্ষের দাবি, এক নম্বর ইউনিটের যন্ত্র পরীক্ষা করার জন্য ‘টেকনিক্যাল টিম’ এলে শ্রমিকদের বিক্ষোভের জেরে কাজ করা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে অব্যবহারের ফলে যন্ত্র নষ্টের আশঙ্কা রয়েছে। বিষয়টি তাঁরা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন কারখানার এক আধিকারিক। এইচআর বিভাগের প্রধান মৃত্যুঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আমরা এর আগে বহু বন্ধ কারখানা অধিগ্রহণ করে চালু করেছি। এখানেও তা হবে।”
যদিও, কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগ মানতে চাননি বিক্ষোভকারী শ্রমিকেরা। তাঁদের তরফে উত্তম চক্রবর্তী বলেন, “কারখানা বন্ধ হয়নি। তাই প্রতিদিন আমরা কারখানায় আসি। শুধু বেতন পাই না। আমরা কাউকে কাজে বাধা দিইনি। কারখানার যন্ত্র খুলে পরীক্ষা করার নামে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া যাবে না।” শ্রমিকদের দাবি, অবিলম্বে কাজে ফেরাতে হবে তাঁদের। ইউনিট চালু হলে তবেই ধাপে-ধাপে পুরনোদের অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে নিয়োগ হবে বলে জানান মৃত্যুঞ্জয়।