উদ্বোধন: প্রকল্প শুরুর দিনে প্রশাসনের কর্তারা। নিজস্ব চিত্র
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে বুধবার বিভিন্ন অনুষ্ঠান আয়োজিত হল জেলার নানা প্রান্তে। পাশাপাশি স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরির প্রকল্প শুরু করার কথা জানাল পূর্বস্থলীর একটি স্বয়ম্ভরগোষ্ঠী।
‘সর্বজয়া মহিলা মাল্টিপারপাস সোসাইটি লিমিটেড’ নামে ওই গোষ্ঠীতে শ্রীরামপুরের প্রায় দু’হাজার মহিলা রয়েছেন। ইতিমধ্যেই তাঁতের শাড়ি, ঢেঁকি ছাঁটা চাল-সহ নানা পরিকল্পনার রূপায়ণ করেছে গোষ্ঠীটি। সম্প্রতি মহিলারা ঠিক করেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন তৈরি করবেন। কেন এমন পরিকল্পনা? এক মহিলা জানান, এর ফলে আয় যেমন বাড়বে। তেমনই ‘ঋতুকালীন পরিচ্ছন্নতা’র দিকটি সম্পর্কেও মহিলাদের সচেতনতা বাড়বে। গোষ্ঠীর তৈরি করা ন্যাপকিনের দামও বাজার চলতি দামের তুলনায় অর্ধেক হবে বলে ব্লক প্রশাসনের দাবি। এ দিন প্রকল্পের উদ্বোধন করেন জেলা গ্রাম উন্নয়ন দফরের আধিকারিক শুভাশিস বেজ ও কালনার মহকুমাশাসক নীতিন সিংহানিয়া ও বিডিও পুষ্পেন চট্টোপাধ্যায়।
এর আগে, নদিয়া জেলা পরিষদ প্রতিটি স্কুলে ‘স্যানিটারি ন্যাপকিন ভেন্ডিং মেশিন’ বসানোর সিদ্ধান্ত নেয়। বছর তিনেক আগে স্বনির্ভর গোষ্ঠী গড়ে তুলে ন্যাপকিন তৈরির কাজে সাফল্য পান পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলার বাসিন্দা সোমা শূর (হোড়)। এ বার বর্ধমানেও এমন মহিলাদের এমন উদ্যোগে আশাবাদী প্রশাসনের কর্তারা।
এ ছাড়া নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনাসভার আয়োজন করে কাটোয়া মহকুমা গ্রন্থাগার। গ্রন্থাগারের তরফে তুষার পণ্ডিত জানান, এ দিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানেরও আয়োজন করা হয়। পূর্বস্থলীর কৃষ্ণনাথ গ্রন্থাগারেও বর্তমান সামাজিক অবস্থায় নারীর অবস্থান, সমান অধিকার প্রভৃতি বিষয়ে আলোচনা করা হয়। ছিলেন কালনা কলেজের শিক্ষক মেহের আলি শেখস বর্ণালী ভাট্টাচার্য প্রমুখ। এ ছাড়াও চুপি অক্ষয় গ্রন্থাগারেও দিনটি উদ্যাপিত হয়।
কাটোয়া, দাঁইহাট, মঙ্গলকোট, গলসি-সহ জেলার নানা
প্রান্তে ‘নারীর অধিকার’-সহ বিভিন্ন বিষয়ে সচেতনতা মিছিল, সভার আয়োজন করে তৃণমূল। এ দিন শিক্ষা বিস্তারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকার জন্য সংবর্ধনা জানানো হয় আউশগ্রামের ঝাড়গোড়িয়ার সনোদি হেমব্রমকে। আউশগ্রাম ১-এর বিডিও চিত্তজিৎ বসু বলেন, ‘‘শিক্ষা বিস্তার, কুসংস্কারের বিরুদ্ধে সচেতনতা প্রচারে সনোদির সাহায্য নেওয়া হবে।’’