এই সাঁকোটিই পাকা করার দাবি উঠেছে। নিজস্ব চিত্র
৮০ ফুটের বাঁশের সাঁকো মাঝেমধ্যেই ভেঙে পড়ে নদীতে। কখনও গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে, কখনও পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ফের তা নতুন করে গড়া হয়। এই ভাঙা-গড়া নিয়েই নিত্য যাতায়াত কালনার নান্দাই পঞ্চায়েতের ঘুঘুডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের। তাঁদের অভিযোগ, বহু বছর ধরে পাকা সেতুর আবেদন হলেও কাজের কাজ কিছু হয়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গরমে তেমন জল না থাকলেও বর্ষায় ফুলে ফেঁপে ওঠে গুড়জোয়ানি নদী। নদীর ওপাড়ের মাঠ থেকে পাট-সহ নানা ফসল তুলে আনার কাজও চলে সেই সময়। মাঝেমধ্যেই বাঁশের সাঁকোর খুঁটি পচে নষ্ট হয়ে যায়। তখন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পরে সাঁকোটি। আবার নতুন করে তৈরি করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ওই সময়ে ছাত্রছাত্রীদের যেমন অন্য পাড়ে উচ্চবিদ্যালয়ে যেতে অসুবিধার মুখে পড়তে হয়, তেমনি অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী, প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক-সহ বাইরে থেকে নানা কাজে আসা লোকজনেদেরও অসুবিধার মুখে পড়তে হয়। মুশকিল হয় কোনও রোগী বা প্রসূতিকে এক পাড় থেকে অন্য পাড়ে নিয়ে যেতেও। এলাকাবাসীর দাবি, পাকা সেতু তৈরি হলে মাঠ থেকে ফসল আনার খরচ অনেকটাই কমে যাবে। বাঘনাপাড়া-সহ বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ সমুদ্রগড়, নবদ্বীপে পৌঁছতে পারবেন কম সময়ে। জানা গিয়েছে, সাঁকোটি পাকা করার জন্য বেশ কয়েকবার সরকারি আধিকারিকেরা এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মাটি পরীক্ষা হয়েছে। তবে কাজ শুরু হয়নি।
ঘুঘুডাঙা গ্রামের বাসিন্দাদের সমস্যার কথা মেনেছে পঞ্চায়েত। প্রধান লিয়াকৎ শেখ জানিয়েছেন, এত বড় সেতু পঞ্চায়েতের পক্ষে তৈরি করা সম্ভব নয়। তবে ঘুঘুডাঙা গ্রামের সঙ্গে যোগাযোগকারী কংক্রিটের একটি সেতুর প্রয়োজনের কথা জানানো হয়েছে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে। তাঁর দাবি, সেতুটি যাতে তৈরি হয় তার জন্য এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ চেষ্টা করছেন। আশা করা যায়, দ্রুত সেতুটি তৈরি হবে।