চলছে রক্তদান। নিজস্ব চিত্র
করোনা মোকাবিলায় ‘লকডাউন’ চলায় রক্তদান শিবির আয়োজন কার্যত বন্ধ। এমন অবস্থায় একেবারে খালি হয়ে গিয়েছিল কালনা মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্কের ভাঁড়ার। পরিস্থিতি সামাল দিতে এগিয়ে এল কালনা থানা। বুধবার হাসপাতালে এসে রক্ত দিয়ে গেলেন পাঁচ জন পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ার।
কালনা মহকুমা হাসপাতালের পাশেই রয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। এই দুই হাসপাতাল তো বটেই, এ ছাড়া, এলাকার থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য ও শহরের নানা নার্সিংহোমে রক্তের চাহিদা মেটাতে হয় মহকুমা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাঙ্ককে। বছরভর মহকুমার নানা প্রান্তে বিভিন্ন সংগঠনের আয়োজিত শিবির থেকে রক্ত আসে ব্লাড ব্যাঙ্কে। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে এলাকায় তেমন শিবির হচ্ছে না। ফলে, সঙ্কট তৈরি হয়েছে। মঙ্গলবার দেখা যায়, ব্লাড ব্যাঙ্কে রক্ত রয়েছে মাত্র পাঁচ ইউনিট। ‘এ নেগেটিভ’, ‘বি নেগেটিভ’ গ্রুপের একটি করে এবং ‘এবি পজ়িটিভ’ গ্রুপের তিন ইউনিট রক্ত রয়েছে। অন্য কোনও গ্রুপের রক্ত নেই। ফলে, সমস্যায় পড়েন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
এই খবর জানার পরেই উদ্যোগী হয় কালনা থানার পুলিশ। তারা যোগাযোগ করলে হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, স্বাস্থ্যবিধি মেনে পাঁচ জনের রক্ত বুধবার সংগ্রহ করা যাবে। এ দিন সকাল ১১টা নাগাদ হাসপাতালে এসে একে-একে রক্ত দিয়ে যান পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারেরা। তাঁদের উৎসাহ দিয়ে যান এসডিপিও (কালনা) শান্তনু চৌধুরী এবং কালনা থানার ওসি রাকেশ সিংহ। পুলিশের তরফে এ দিন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস দেওয়া হয়, যত দিন না পরিস্থিতি স্বাভাবিক হচ্ছে, ধারাবাহিক ভাবে রক্তের জোগান দেওয়া হবে।
কালনা হাসপাতাল সুপার কৃষ্ণচন্দ্র বরাই বলেন, ‘‘থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের জন্য রক্ত একান্ত ভাবে প্রয়োজন। হাসপাতালে রক্তের জোগান তলানিতে পৌঁছে গিয়েছিল। পুলিশ যে ভাবে সহযোগিতা করেছে, কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়।’’ পুলিশের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন এলাকার মানুষজনও। শহরের বাসিন্দা গোপাল মোদকের কথায়, ‘‘পুলিশকে ‘লকডাউন’ বজায় রাখতে দিনরাত কাজ করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে এ রকম পদক্ষেপের জন্যও ওঁদের ধন্যবাদ প্রাপ্য।’’
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)